করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর থেকে ইউরোপের এ দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের ঘটনা এবারই প্রথম বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
শনিবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জানানো দৈনিক শনাক্তের পরিমাণ দেশটিতে বৃহস্পতিবার শনাক্ত হওয়া রোগীর রেকর্ডও টপকে গেছে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে ৯ হাজার ৮৪৩ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। দেশটিতে তিনদিনে প্রায় ৩০ হাজার রোগী শনাক্তের ঘটনা ভাইরাসের পুনরুত্থানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বিচলিত ফ্রান্স সরকার শুক্রবার নতুন কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার রূপরেখা ঠিক করেছে; এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে চলতি বছরের শুরুর দিকে যেরকম লকডাউন দেওয়া হয়েছিল, তা এড়ানো যাবে বলেও প্রত্যাশা করছে তারা।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাস্টেক্স ভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষার পরিমাণ ও সংক্রমণের হার বেশি এমন অঞ্চলে বিধিনিষেধ কঠোর করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার দেওয়া তথ্যে ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে ৭৭২টি ‘গুচ্ছ সংক্রমণের’ ঘটনা খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা আগেও এ ধরনের ‘গুচ্ছ সংক্রমণের’ সংখ্যা ৮৬টি কম ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সজুড়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত দুই হাজার ৪৩২ জন হাসপাতালে এসেছিলেন; যাদের মধ্যে ৪১৭ জনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে হয়েছিল বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মহামারী শুরুর পর থেকে শনিবার পর্যন্ত দেশটির হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলোতে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৯১০ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জনের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে, বলেছে তারা। দেশটিতে মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ২ হাজার ৮১১ জন।