শুক্রবার ভোরে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের সেনাবাহিনীর গোলা-বারুদের ডিপোয় থাকা মর্টার শেলে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এই শেল বিস্ফারণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
সামরিক স্থাপনাটি শহরের আবাসিক এলাকা থেকে বেশ খানিকটা দূরে। তবে বিস্ফোরণ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে রাজধানী আম্মান থেকেও আকাশে আগুনের ঝলকানি দেখা গেছে। শোনা গেছে বিস্ফোরণের শব্দও।
জর্ডান সরকার প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
পরে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তালাল আল গোবাইন জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে, উচ্চ তাপমাত্রার কারণে মর্টার শেলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এ বিস্ফোরণ হয়েছে।
জারকা শহরের এক অধিবাসীর কথায়, “মনে হল যেন ভূমিকম্প হয়েছে। আমাদের ঘরবাড়ির জানালা কেঁপে উঠে কাচ সব ভেঙে পড়েছে। বাচ্চারা সঙ্গে সঙ্গে কান্না জুড়ে দেয়।”
সামরিক ঘাঁটিটিতে মজুদ রাখা মর্টারগুলো পুরোনো এবং ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল বলে এর আগে জানিয়েছিলেন সরকারের মুখপাত্র আমজাদ আদাইলাহ। তাছাড়া, জর্ডানে সম্প্রতি তাপমাত্রাও খুব বেড়েছে।
প্রতিবেশী সিরিয়া, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন এবং ইরাকের পাশাপাশি জর্ডানেও এমাসে তাপমাত্র ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে এই মাত্রার তাপপ্রবাহ দেখা যায়নি।
জর্ডানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, বিস্ফোরণের পর ত্বরিৎ গতিতে ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী বিস্ফোরণের পরই জারকা শহর অবরুদ্ধ করেছে। ঘটনাস্থলে সাংবাদিকরাও যেতে পারছেন না।