প্রেসিডন্ট প্রার্থীদেরকে নিশানা করে মস্কো বিভিন্ন পদ্ধতিতে এবং কর্মতৎপরতায় নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ মন্ত্রণালয়ের।
বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেইনের পার্লামেন্টের এক সদস্যসহ আরও তিন রুশ নাগরিককে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
এই তিন রুশ হচ্ছেন, রাশিয়ার ইন্টারনেট রিসার্চ এজেন্সি’র (আইআরএ) কর্মকর্তা। ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে সাবেক মার্কিন বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলার এই তিনজনকে অভিযুক্ত করেছিলেন।
আর ইউক্রেইনের আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বজুড়ে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ করেছে অর্থমন্ত্রণালয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “রাশিয়ার এইসব অপপ্রচার মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র তার হাতে থাকা সব হাতিয়ারই ব্যবহার করে যাবে।”
অর্থমন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত হওয়া চার ব্যক্তির যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব সম্পত্তি জব্দ হওয়াসহ আমেরিকানদের সঙ্গে লেনদেনও নিষিদ্ধ হবে।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সমর্থনের পাল্লা হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নেওয়ার উদ্যোগের পেছনে রাশিয়ার ভূমিকা ছিল। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো সাইবার হামলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এ কাজ করেছিল তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা, নির্বাচনের ওই বছরের শেষ দিকে ভোটের ফল রিপাবলিকানদের পক্ষে নিতে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে আঁতাত করেছিল রাশিয়া।বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছিলেন এফবিআই’ এর সাবেক প্রধান জেমস কোমি।
কিন্তু ট্রাম্প হঠাৎ করেই কোমিকে বরখাস্ত করলে তদন্ত পরিচালনায় বিশেষ কাউন্সেলরের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলার। রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে এই তদন্তকে ‘অকারণ হেনেস্তার’ তদন্ত বলে বরাবরই বর্ণনা করে এসেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।