বুধবার অঞ্চলটি এ দুঃখজনক মাইলফলক অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর মধ্যে কেবল ব্রাজিলেই মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৮ হাজারের বেশি।
মেক্সিকোতে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৬৯ হাজার; কলম্বিয়া ও পেরুতেও ভাইরাস প্রাণ কেড়ে নিয়েছে যথাক্রমে ২২ হাজার ও ৩০ হাজারের বেশি মানুষের।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে আবির্ভূত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৯ মাসে কোভিড-১৯ এ বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ৯ লাখ ছাড়িয়েছে; রয়টার্সের হিসাব অনুযায়ী এ মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশই দেখেছে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো।
অঞ্চলটিতে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব তুলনামূলক অনেক পরে দেখা গেলেও সংক্রমণের বিস্তৃতি ও জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সংকটের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই এটি বেশি ক্ষতি করতে পেরেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
লাতিন আমেরিকা থেকে সহসা ভাইরাসটি দূর হবে, এমন কোনো লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় মৃত্যুর এ মিছিল আরও দীর্ঘ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা।
মঙ্গলবার থেকে আগের ৭দিন লাতিনে করোনাভাইরাসে প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার ৮১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
কেবল সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং মৃত্যুই নয়, প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় দেওয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে অর্থনীতিতে যে গভীর মন্দাভাব দেখা দিয়েছে, লাতিনের দেশগুলোকে এখন তার সঙ্গেও লড়তে হচ্ছে।
উত্তর আমেরিকার কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই করোনাভাইরাস এক লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; রয়টার্সের টালি অনুযায়ী ইউরোপের দেশগুলোতেও মৃত্যু দুই লাখ ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।