বেলারুশের ৩১ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার পথে ইইউ

বেলারুশে গত ৯ অগাস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের জবাবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৩১ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

>>রয়টার্স
Published : 7 Sept 2020, 11:59 AM
Updated : 7 Sept 2020, 11:59 AM

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইইউ’র তিন কূটনীতিক।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরোধীরা এবং পশ্চিমারা অগাস্টের ওই নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে।

নির্বাচনে লুকাশেঙ্কো জয়ী হওয়ার পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। লুকাশেঙ্কো বিরোধীরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী মিনস্কসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে।

চলমান বিক্ষোভ-সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত চারজনের প্রাণহানিসহ আরও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করছে সরকার।

তাতেও থামছে না বিক্ষোভ।রোববার বেলারুশে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আরও বড় বিক্ষোভ হয়েছে। রাস্তায় দেখা গেছে জনস্রোত। পুলিশকেও আরও কঠোরভাবে বিক্ষোভ দমন করতে দেখা গেছে। বিরোধীদলীয় অনেক নেতাকর্মী দমনপীড়নের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

বেলারুশ সরকারকে এই দমনপীড়নের জন্য শাস্তি দিতে এবং নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিকে সমর্থন জানাতে ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।

ইইউ-এর এক কূটনীতিক বলেছেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে ১৪ টি নাম নিষেধাজ্ঞার কলোতালিকাভুক্ত করতে রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু অনেক দেশই মনে করছে এটুকই যথেষ্ট নয়। এখন আমরা আরও ১৭ জনকে এ তালিকায় রাখতে একমত হয়েছি।”

“এই ব্যক্তিরা হচ্ছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যারা নির্বাচন, সহিংসতা এবং দমনপীড়নের জন্য দায়ী।”

গতমাসের শেষের দিকে বার্লিনে একটি বৈঠকে ইইউভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছেন। এর আওতায় তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে এবং তাদের সম্পদ জব্দ হবে।

তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ তালিকায় এখনও কোনও নাম যোগ হতে পারে বা কোনও নাম বাদও দেওয়া হতে পারে। তালিকায় এখনও গ্রিস এবং সাইপ্রাসের সমর্থন প্রয়োজন।

কারণ, এ দুটি দেশ তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্য চাপ দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে তুরস্কে কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিনিময়ে তারা বেলারুশে নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দিতে পারে। নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপে ইইউ-র ২৭ টি দেশেরই একমত হওয়া জরুরি।

কূটনীতিকরা বলছেন, ২১ সেপ্টেম্বরে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পরবর্তী বৈঠক আছে। সেদিনই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তি হতে পারে। আর তা হলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই।

এর আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো এবং আরও ২৯ কর্মকর্তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে লিথুনিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়া।