তিব্বতে ‘স্থাপনা নির্মাণে গতি বাড়াচ্ছে চীন’

তিব্বতে আগের ঘোষিত বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি নতুন কিছু প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে চীন ১৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2020, 12:59 PM
Updated : 6 Sept 2020, 12:59 PM

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ভূখণ্ডের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই বেইজিং দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের দুর্গম ও অনুন্নত এলাকাগুলোর স্থাপনা নির্মাণে গতি বাড়াতে চাইছে, বলেছেন নাম প্রকাশে নারাজ বেশ কয়েকজন চীনা কর্মকর্তা। 

লাদাখে দুই প্রতিবেশীর মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকে ভারতও তিব্বতের কাছের অরুণাচল সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। নয়া দিল্লির এমন পদক্ষেপের সঙ্গে তিব্বতে ‘স্থাপনা নির্মাণে গতি বাড়ানোর পরিকল্পনার’ যোগ আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। 

রয়টার্স জানিয়েছে, তিব্বতের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে গত সপ্তাহে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সীমান্ত কর্মকর্তাদের সাফল্যের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। তিব্বত অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য কর্মকর্তাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। 

বৈঠকে শি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিচুয়ান তিব্বত রেলওয়ে সংযোগসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি প্রকল্প ও স্থাপনার কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন বলে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়ায় প্রকাশিত কিছু মন্তব্য থেকে জানা গেছে।

বেইজিং এখন যেসব প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে তার মধ্যে নেপাল ও তিব্বতকে সংযুক্ত করা সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে লিংকের মধ্যবর্তী অংশ এবং তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত এলাকায় নতুন পরিকল্পিত একটি ড্রাই পোর্টও আছে, বলেছেন কর্মকর্তারা।

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্বপ্রাপ্ত না হওয়ায় চীনের এ কর্মকর্তারা তাদের নাম জানাতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। 

প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করতে বেইজিং যে অর্থ ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে, তার মধ্যে কী পরিমাণ নতুন করে বরাদ্দ হয়েছে, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। প্রকল্পগুলোতে কত বছর ধরে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে, জানা যায়নি তাও।

তাৎক্ষণিকভাবে চীনের স্টেট কাউন্সিলের তথ্য বিষয়ক দপ্তর এবং তিব্বত আঞ্চলিক সরকারের কাছ থেকেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে নারাজ চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন, সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পের সবচেয়ে জটিল অংশ হচ্ছে চেংডুর সঙ্গে লাসার সংযোগ অংশ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই জটিল অংশটুকুর কাজ শুরু হচ্ছে।

বেইজিং এখন তিব্বত-নেপাল রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পের কাজেও গতি বাড়াতে চাইছে, জানিয়েছেন তারা।

নেপাল-তিব্বত এ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে তা কাঠমান্ডুর সঙ্গে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসেকে সংযুক্ত করবে।

২০১৮ সালে  এই রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে অনেকগুলো দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হলেও, এতদিন ধরে এটির কাজ অনেকটাই ঝুলে ছিল।