বেরলুসকনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বলেও জানায় ইতালির সংবাদ সংস্থা এএনএসএ।
এএনএসএ-র প্রতিবেদনে বলা হয়, শারীরিক অবস্থা পরীক্ষার জন্য গত সোমবার রাতে বেরলুসকনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর বুধবার তার ফলাফল ‘পজিটিভ’ বলে জানা যায়।
যদিও তার দল ফরজা ইতালিয়া পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তার অবস্থা উদ্বিগ্ন হওয়ার মত নয়।
‘‘কোভিড-১৯ পজেটিভ হওয়ার পর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে সেটা জানতেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ছে। তিনি ভালো আছেন।’’
ইতালির মিডিয়া টাইকুন ৮৩ বছরের বেরলুসকনি ছাড়াও তার পার্টনার এবং দুই সন্তান কোভিড-১৯ ‘পজেটিভ’।
৩০ বছর বয়সী পার্টনার মার্তা ফাসকিনাকে নিয়ে কয়েকদিন আগে সার্দিনিয়ায় ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন বেরলুসকনি। সেখান থেকে মিলানে নিজ ভিলায় ফিরে পার্টনারকে নিয়ে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।
সৈকতের জন্য বিখ্যাত উপকূলীয় শহর সার্দিনিয়ায় ইতালির অন্যান্য অঞ্চল থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বেশি।
বিবিসি জানায়, বেরলুসকনি বর্তমানে সান রাফায়েল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আছেন। তার ফুসফুসের উভয় অংশে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যদিও সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
সামনেই ইতালির স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ অবস্থায় দলের কার্যক্রম চাঙ্গা রাখতে এক ফোন ম্যাসেজে বেরলুসকনি বলেছেন, ‘‘বর্তমান নির্বাচনী প্রচারে আমি আমার সেরাটা দিয়ে কাজ করে যাব।’’
কিভাবে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন সে বিষয়ে কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না বলেও দলীয় নেতাকর্মীদের জানান তিনি।
চার মেয়াদে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা বেরলুসকনি গত বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ২০১৩ সালে তিনি দোষীসাব্যস্ত হলে ইতালীয় সিনেটের পদ হারান। তাকে সরকারি পদে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও ওই নিষেধাজ্ঞা পরে তুলে নেওয়া হয়।