মিয়ানমারে ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় রাজধানী অবরুদ্ধ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকার মধ্যে রাজধানী নিপিধো অবরুদ্ধ করেছে মিয়ানমার। সেখানে প্রবেশে কড়াকড়িসহ কোয়ারেন্টিন এবং ভাইরাস পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 3 Sept 2020, 02:15 PM
Updated : 3 Sept 2020, 02:51 PM

বুধবার মিয়ানমারে নতুন আরও কয়েক ডজন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এ ব্যবস্থা নিয়েছে। নেত্রী অং সান সু চি পরিস্থিতি দেশের জন্য বিপর্যয়কর বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।

ফেইসবুকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, নিপিধোতে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে তাকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, ভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ ফল যাদের আসবে কেবল তাদেরকেই সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

ওদিকে, নিপিধো কাউন্সিল তাদের নির্দেশনায় বলেছে, দেশের উচ্চ-সংক্রমণ এলাকাগুলো থেকে যারা আসবে তাদেরকে একটি স্থাপনায় অন্তত ৭ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। আর কারও ভাইরাস পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসলে তিনি আগেভাগে কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পাবেন।

মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম স্থানীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর থেকে সরকারি হিসাবে, দেশটিতে ভাইরাস শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের।

রাখাইনেই ভাইরাস সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই এলাকায় সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই-সংঘর্ষ চলছে এবং কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।

মিয়ানমারে সর্বসম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তুয়ে-তে। কর্মকর্তারা সেখানে লোকজনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়াসহ কারফিউ জারি রেখেছে।

তবে কেবল সিত্তুয়েই নয়, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশজুড়ে। মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াংগনেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেখানে কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার আংশিক লকডাউন জারি করেছে। অধিবাসীদেরকেও ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে বিভিন্ন নাইটক্লাব এবং বার।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে জাতীয় দুর্যোগ আইনে তাকে কড়া সাজা দেওয়া হবে। এ আইনে নিয়মভঙ্গকারীদের একবছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।