আরব আমিরাতের অনুরোধে সৌদি আরব এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আকাশসীমা উন্মুক্ত করার ঘোষণায় ইসরায়েলের কথা উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়া আসার জন্য ‘সব দেশের ফ্লাইট’ সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি পাবে।
গত সোমবার প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের নিয়ে তেল আবিব থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সৌদি আরবের ওপর দিয়ে সরাসরি আমিরাতের আবুধাবিতে যাওয়ার পর সৌদি সরকার আকাশসীমা খুলে দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত জানাল।
এতে করে ইসরায়েল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরাসরি আরও ফ্লাইট চালুর পথ প্রশস্ত হচ্ছে। আগে ইসরাইলে যাতায়াতের জন্য সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তবে, ২০১৮ সালে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটকে তেল আবিবে যাতায়াতের অনুমতি দিয়েছিল সৌদি আরব।
ইসরায়েল এবং আরব আমিরাতের মধ্যে বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা খোলা রাখার সৌদি আরবের সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতে সময় কয়েক ঘণ্টা কম লাগবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “যাতায়াতে সময় কম লাগার পাশাপাশি খরচও কম হবে। তাছাড়া, দু’দেশের সরাসরি ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে পর্যটন এবং অর্থনীতি উন্নয়নেরও দ্বার খুলে যাবে।”
‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, আকাশসীমা উন্মুক্ত করার যে ঘোষণা সৌদি আরবের সরকারি প্রেস এজেন্সি দিয়েছে তাতে ‘সব ফ্লাইট’কে দেশটির আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে বলা হলেও ইরান এবং কাতারের কথা সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।
বর্তমানে ওই দুই দেশের জন্য সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধ রয়েছে। ঘোষণায় কেবল ইসরায়েল এবং আমিরাতের মধ্যকার ফ্লাইট চালু করা এবং আমিরাতের অনুরোধেই তা করার ইঙ্গিত রয়েছে।