সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর শীর্ষ উপেদেষ্টারা আরব আমিরাতে পদার্পন করেছেন।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্পের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়ান। অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মীর বেন-সাব্বাত।
ইসরায়েলি এল আল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে সৌদি আরবের ওপর দিয়ে সরাসরি আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে পৌঁছেছে।
কুশনার আমিরাতে পৌঁছেই ফিলিস্তিনিদেরকে শান্তি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিনিদের অতীত আঁকড়ে থাকা উচিত নয়। তাদেরকে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে। তাদের জন্য শান্তি প্রস্তুত হয়ে যাবে। যখনই তারা স্বাগত জানাবে তখনই তাদের জন্য একটি সুযোগ প্রস্তুত হয়ে থাকবে।”
সফরকালে কর্মকর্তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, পর্যটন, অর্থনীতি, জিজ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা নিয়ে আলোচনা করবেন। দু’দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টিও আলোচ্যসূচিতে থাকবে বলে আল আরাবিয়া টিভিকে জানিয়েছেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটিকে স্বীকৃতি দিতে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যের তৃতীয় আরব দেশ ইউএই।
শনিবার ইসরায়েলকে অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের একটি আইন বাতিল করে ডিক্রি জারি করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ১৯৭২ সাল থেকে এতোদিন পর্যন্ত আইনটি বহাল ছিল। এর আগে ১৬ অগাস্ট দেশ দুটি প্রথমবারের মতো সরাসরি টেলিফোন লাইন চালু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দেশ দুটি কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে, ১৩ অগাস্ট এক ঘোষণায় এ খবর জানানো হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ ঘোষণাকে স্বাগত জানালেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত ছাড়া আরব আমিরাত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হওয়ায় হতাশ হয় ফিলিস্তিনিরা। ইউএই-র এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে এটি তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল বলে মন্তব্য করে ফিলিস্তিনিরা।
ইউএই-র স্বীকৃতির বিনিময়ে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীর নিজেদের দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে। ফিলিস্তিন পশ্চিম তীরকে নিজেদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ বলে মনে করে।
আমিরাত বলছে, ইসরায়েলের এ প্রতিশ্রুতি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্রীক সমাধানের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে।