গত বছরের ডিসেম্বরে হুবেই প্রদেশের এ রাজধানীতেই চীনের মধ্যে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান মিলেছিল। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলোর তালিকায়ও উহানের নাম উপরের দিকেই থাকবে।
শুক্রবার শহরটির স্থানীয় সরকার এক ঘোষণায় মঙ্গলবার থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শরৎকালীন সেমিস্টারের পাঠদান শুরু করতে বলেছে।
তাদের এ ঘোষণার ফলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য উহানের দুই হাজার ৮৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বার ফের উন্মোচিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত সপ্তাহের সোমবার থেকে উহান বিশ্ববিদ্যালয়ও খুলে দেওয়া হয়েছে।
স্কুল খুলে দেওয়ার নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে মাস্ক পরে থাকতে এবং সম্ভব হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সুরক্ষা উপকরণ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরঞ্জাম মজুদ করতে এবং নতুন করে প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে কী কী করতে হবে সে সংক্রান্ত ড্রিল ও প্রশিক্ষণ ক্লাস নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংক্রমণ ফের বাড়তে দেখা গেলে কিংবা ঝুঁকির মাত্রা বদলালে শিক্ষার্থীদের আবার অনলাইন শিক্ষাদান পদ্ধতিতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা প্রস্তুত, বলেছে তারা।
তবে বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা এখনও নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো বার্তা পাননি তাদেরকে উহানে ঢোকার অনুমোদন দেওয়া হবে না।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্যাশবোর্ড অনুযায়ী, শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত চীনে কোভিড-১৯ এ ৪ হাজার ৭১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে; এর মধ্যে উহানেরই তিন হাজার ৮৬৯ জন।
প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কর্তৃপক্ষ জানুয়ারির শেষ থেকে দুই মাস শহরটিকে লকড ডাউন করে রেখেছিল।
বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর এপ্রিল থেকে উহান একটু একটু করে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। হুবেই প্রদেশের এ রাজধানীতে মে মাসের ১৮ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের শিকার কোনো ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।