‘বিদেশি অংশীদারদের সহযোগিতায়’ চারটি জাহাজে থাকা প্রায় ১১ লাখ ব্যারেল জ্বালানি জব্দ করা হয়েছে, বলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লংঘন করায় জ্বালানির এ চালান জব্দ করা হয়েছে বলে ভাষ্য ওয়াশিংটনের।
বেলা, বেরিং, পান্ডি এবং লুনা নামের এই চারটি জাহাজের জ্বালানি সমুদ্রের কোন অঞ্চল থেকে কখন জব্দ করা হয়েছে এবং জাহাজগুলো এখন কোথায় বিবিসি তা জানতে পারেনি।
ভেনেজুয়েলায় ইরানের রাষ্ট্রদূত হুজাত সুলতানি বিপুল পরিমাণ ইরানি জ্বালানি জব্দের মার্কিন দাবিকে ‘অপপ্রচার’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে চারটি জাহাজের নাম বলেছে, সেগুলো ইরানের পতাকাবাহী নয়। জাহাজগুলোর স্বত্বাধিকারীরাও ইরানি নন।
বিবিসি জানিয়েছে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিচারক এই চারটি ট্যাংকারের তেলবাহী কার্গো জব্দে পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে মার্কিন বিচার বিভাগ জানায়, তারা ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর (আইআরজিসি) পাঠানো কয়েক মিলিয়ন ডলারের জ্বালানির চালান জব্দে সফল হয়েছে।
“জব্দ করা সম্পদ এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে,” বলেছে তারা।
ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর শাখা আইআরজিসিকে গত বছরই যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
বিপুল পরিমাণ জ্বালানি জব্দের পাল্টায় ইরানের নৌবাহিনী ‘এ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কহীন’ একটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
“যুক্তরাষ্ট্রের হাতে জব্দ পেট্রলিয়াম পুনরুদ্ধারে তারা এ চেষ্টা করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে,” বলেছে তারা।
জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ভেনেজুয়েলার পথে থাকা ৪ জাহাজ থেকে জ্বালানি জব্দে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করেনি।
জাহাজগুলোকে জব্দ করা হয়নি, জব্দ করা হয়েছে সেখানে থাকা জ্বালানি, বলেছেন তিনি।
“জাহাজগুলোর মালিক, বীমা প্রতিষ্ঠান ও ক্যাপ্টেনদের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার হুমকি দিয়ে জাহাজে থাকা তেল যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল,” বলেছেন ওই কর্মকর্তা।