করোনাভাইরাস সংকটে খাবার অপচয়কে অশনি সংকেত বলে প্রেসিডেন্ট শি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মহামারীর এ সময়ে খাবারের সংকট দেখা দেওয়ার ব্যাপারে জনগণের সচেতন থাকা জরুরি বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।
তবে কেবল মহামারীই নয়, চীনে কয়েকসপ্তাহের বন্যা-ভূমিধসে বিভিন্ন এলাকার জমির ফসল নষ্ট, খাবারের গুদাম পানিতে ভেসে যাওয়া, মজুদ খাবার নষ্ট হওয়াও খাদ্য অপচয় বন্ধের এ উদ্যোগ নেওয়ার কারণ।
এই ‘ক্লিন প্লেট’ প্রচার শুরু হতেই চীন খাদ্য সংকটে পড়েছে কিনা তা নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সত্যিই খাদ্য সংকটে আছে। কিন্তু চীনের ক্ষেত্রে খাদ্য সংকটের ক্ষেত্রে আসল হুমকিটা মহামারীর তুলনায় খাবারের অপচয়ের কারণেই বেশি।
বিবিসি জানায়, প্রেসিডেন্ট শি’র বার্তার পর, উহান ক্যাটারিং ইন্ড্রাস্টি অ্যাসোসিয়েশন শহরের রেস্তোরাঁগুলোকে রাতের ডিশের সংখ্যা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং অতিথিদেরও কম খাবার অর্ডার দেওয়ার একটি নতুন ব্যবস্থা চালু করতে বলেছে।
‘এন-ওয়ান’ নামের নতুন এ নিয়মে ১০ জনের একটি গ্রুপ রাতের খাবারে ৯ প্লেট খাবার অর্ডার করতে পারবে।
তবে খাবারের এই নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চীনাদের কিছুটা সময় লাগতে পারে। কারণ, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার অর্ডার দিতেই অভ্যস্ত চীনারা। তাছাড়া, অতিথিরা খাওয়ার পর তাদের প্লেটের খাবার শেষ হয়ে যাওয়াটাকেও অনেকে ভাল চোখে দেখে না।
চীনের ডব্লিউডব্লিউিএফ সংগঠনের হিসাবমতে, ২০১৫ সালে দেশটির ১ কোটি ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টন খাবার অপচয় হয়েছে।
খাবার অপচয় রোধের প্রচারণা অবশ্য চীনে এটাই প্রথম নয়। ২০১৩ সালেও ‘অপারেশন এম্পটি প্লেট ক্যাম্পেইন’ চালিয়েছিল দেশটি।