ওই অঞ্চলে তাদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব যুদ্ধোপকরণ পাঠানো হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ফ্রান্সের সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রণালয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভূমধ্যসাগরের পূর্বাংশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান না চালানোর জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কিন্তু গত মঙ্গলবার তুরস্কের একটি ড্রিলিং জাহাজ ওই অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য রওনা হয়েছে আর সঙ্গে তুরস্কের নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজও রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এই নিয়ে নেটো সদস্য দুই প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা ও কথা লড়াই চলছে।
জুলাইতে তুরস্ক গ্রিসের দ্বীপ কাস্তেলরিজোর উপকূলে তাদের জরিপ জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিল। তখন দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতির চলতি দায়িত্বে থাকা জার্মানির মধ্যস্থতায় তখনকার মতো বিরোধ মিটে যায়।
কিন্তু তুরস্ক নতুন করে জরিপের উদ্যোগ নেওয়ায় ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছ। গ্রিস তুরস্ককে তাদের জরিপ জাহাজ ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় প্রকাশ করেছে।
এ পরিস্থিতিতে ইইউ উভয়পক্ষকে সংলাপে বসার আবেদন জানিয়েছ। গ্রিস ইইউয়ের সদস্য রাষ্ট্র।
গ্যাস মজুদ ও সমুদ্রসীমা নিয়ে গ্রিস-তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা সামনে আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।