রয়টার্সের টালি অনুযায়ী শনিবার দেশটিতে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষে আছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৪২৫।
মোট আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যায়ও শীর্ষে আছে বিশ্বের সবচেয়ে সম্পদশালী দেশটি। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারীতে মোট মৃত্যুর প্রায় এক-চতুর্থাংশই ‘সুপার পাওয়ার’ হিসেবে পরিচিত এ দেশটিতে হয়েছে।
চলতি বছরের শেষ দিকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধের কার্যকর টিকা সহজলভ্য হতে পারে বলে গত সপ্তাহে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা ড. অ্যান্থনি ফাউচি।
শনিবার করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকানদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও কর ছাড় দেওয়ার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কংগ্রেসের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ার পর ট্রাম্প নির্বাহী এ আদেশ জারি করেন।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, জুলাইতে দেশটির কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, এতে অতিরিক্ত সরকারি সহায়তার জরুরি প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ফাউচি জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শেষ দিকে অন্তত একটি কার্যকরী নিরাপদ টিকা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গী পোষণ করে বলেছেন, ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়কালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসের টিকা পেয়ে যাবে এটি সম্ভব হতে পারে।