হংকংয়ে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর পর বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশের আওতায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ক্যারি লামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের নাম জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চীনের চাপিয়ে দেওয়া নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন ক্ষুন্ন হয়েছে। এ আইন চীনা মূলভূখন্ডের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কোনও জবাবদিহিতা ছাড়াই সেখানে কাজ করার পথ প্রশস্ত করেছে। ফলে হংকংয়ে কেউ চীনবৈরি বলে সন্দেহ সৃষ্টি হলে তার দমনপীড়নের শিকার হওয়ার পট প্রস্তুত হয়েছে।”
“হংকংয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং স্বাধীনতার টুঁটি চিপে ধরা চীনের এই কঠোর নীতি বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি দায়ী প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম।”
“যুক্তরাষ্ট্র হংকংয়ের জনগণের পাশে আছে। আমরা আমাদের হাতে থাকা বিভিন্ন উপায় এবং ক্ষমতাবলে স্বায়ত্তশাসন ক্ষুন্নকারীদের নিশানায় রাখব,” বলেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন।
নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া হংকংয়ের কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব সম্পদ জব্দ হবে এবং মার্কিনিদের সঙ্গে তাদের লেনদেনও নিষিদ্ধ থাকবে।