নির্বাচন হবে ৩ নভেম্বরই, বলছেন ট্রাম্পের উপদেষ্টারা

যুক্তরাষ্ট্রে এবছরের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার যে চিন্তাভাবনা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প করছেন তাতে বাধ সেধে তার উপদেষ্টারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরিকল্পনামাফিক ৩ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে।

>>রয়টার্স
Published : 3 August 2020, 01:29 PM
Updated : 3 August 2020, 01:29 PM

হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোস সিবিএস এর ‘ফেস দ্য ন্যাশন’ অনুষ্ঠানে বলেন, মেইল-ইন ভোট ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

“আমরা তিন নভেম্বরেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করব এবং প্রেসিডেন্ট তাতে জয়ী হবেন।” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্বেগ বিবেচনায় নিয়ে মেডোস ডাকযোগে ভোট অবশ্যই সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হবে বলেও রোববার সতর্ক করেছেন।

মেডোসের মতো একই সুরে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের উপদেষ্টা জ্যাসন মিলারও। ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আগামী তিন নভেম্বর নির্বাচন হবে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও চান ৩ নভেম্বরে নির্বাচন হোক।”

ডাকযোগে ভোটিং ব্যবস্থায় জালিয়াতি এবং ভুল ফল আসতে পারে উল্লেখ করে ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন পিছানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। মানুষের ভোট দেওয়ার ‘যথাযথ, সুরক্ষিত ও নিরাপদ’ পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে দেরি করতে বলেছিলেন তিনি।

তার ওই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরাও।

পরে বৃহস্পতিবারেই বিকালে হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনিও নির্বাচন স্থগিতের পক্ষে নন। তবে ডাকযোগে ভোটে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের আওতায়, ট্রাম্পের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কোনও এখতিয়ার নেই। নির্বাচনে দেরি করতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। কংগ্রেসের দুই কক্ষের ওপর প্রেসিডেন্টের সরাসরি কোনও ক্ষমতা নেই।