মুখে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য সব বিধিনিষেধ জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতার লঙ্ঘন বলে বিক্ষোভকারীরা শনিবার প্রতিবাদ জানিয়েছে।
কর্মকর্তাদের হিসাবমতে, অন্তত ১৫ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভের এ দিনটিকে বলা হচ্ছে ‘মুক্তির দিন’।
‘মেকী করোনাভাইরাস সতর্কতা’ জারি করে ‘মুখে লাগাম পরতে বাধ্য করা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
বার্লিন থেকে বিবিসি’র এক সংবাদদাতা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ডানপন্থিরা এবং কোভিড-১৯ এর অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয় এমন লোকজন ছাড়াও রয়েছে সাধারণ মানুষ; যারা করোনাভাইরাস সামাল দেওয়া নিয়ে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধী।
ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় জার্মানি করোনাভাইরাসে কম বিপর্যস্ত হয়েছে। তবে দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। শুক্রবার দেশটিতে ৯শ’রও বেশি মানুষের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৭ জন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জার্মানিতে জারি থাকা বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে গণপরিবহন ও দোকান-পাটে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এছাড়াও অন্যান্য আরও স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক বিধি প্রযোজ্য আছে জার্মানিজুড়ে।
শনিবার বিক্ষোভকারীদের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি; কেউ সামাজিক দূরত্বও রক্ষা করেনি। এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, “আমাদের ওপর যেসব আইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাস্ক পরিয়ে দাস বানানো হচ্ছে- এসব থেকে দূরে সরে গিয়ে আবার গণতন্ত্রে ফেরার দাবি জানাচ্ছি আমরা।”
জার্মনিতে মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছে এবং মারা গেছে ৯ হাজারের বেশি মানুষ।