ভিয়েতনামে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু

ভিয়েতনামে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৭০ বছর বয়সের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পর্যটন শহর দানাংয়ে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন।

>>রয়টার্স
Published : 31 July 2020, 11:03 AM
Updated : 31 July 2020, 11:18 AM

চীনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমানা থাকায় এবং লাখ লাখ চীনা পর্যটক প্রতিবছর ভিয়েতনাম ভ্রমণে যাওয়ায় দেশটি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে ছিল। কিন্তু দ্রুত কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশনের মাধ্যমে বৈশ্বিক এ মহামারীকে প্রথম দফায় আটকে দিতে পেরেছিল ভিয়েতনাম। সেবার মাত্র ৩২৭ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন। মারা যাননি কেউ, আক্রান্তদের সবাই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ সাফল্যের কারণে ভিয়েতনাম সরকার সারা বিশ্বে দারুণ প্রশংসিত হচ্ছিল। 

দেশটিতে প্রায় তিন মাস নতুন করে সংক্রমণও শনাক্ত হয়নি। কিন্তু জুলাই মাসের শেষ দিকে পর্যটক প্রিয় সৈকত শহর দানাংয়ে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেয়।

শুক্রবারও ৪৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে দৈনিক শনাক্তের রেকর্ড।

নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় রাজধানী হ্যানয়ে আবার গণহারে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বার ও নাইটক্লাব। বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সরকারি তথ্য মতে জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে স্থানীয় প্রায় ৮০ হাজার পর্যটক দানাং ভ্রমণে গিয়েছিলেন। নতুন করে ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশের আগে ও পরে তাদের অনেকে নিজ নিজ শহরে ফিরে গেছেন। সম্প্রতি ভ্রমণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের তাই নিজে থেকে এগিয়ে এসে কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দানাং কেন্দ্রীক সব ফ্লাইট ও গণপরিবহণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

ভিয়েতনাম নিউ এজেন্সি জানায়, ৭০ বছরের ওই ব্যক্তি দেশটির ৪২৮ নম্বর রোগী ছিলেন, যিনি শুক্রবার মারা যান।

শুক্রবার শনাক্ত ৪৫ জনের বয়স ২৭ থেকে ৮৭ বছরের মধ্যে। তারা দানাংয়ের তিনটি হাসপাতাল এবং দুইটি ক্লিনিকে আছেন। ভিয়েতনামের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রাতারাতি ৬৫ জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ একটি টাস্ক ফোর্স দানাংয়ে পাঠয়ে দিয়েছে। নগরীর আরো প্রায় এক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নতুন দফা সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করছেন।

দানংয়ের হাসপাতালগুলোর উপর চাপ কমাতে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এক হাজার বেডের একটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। দেশটিতে এখন নতুন আক্রন্তের সংখ্যা ৫০৯ জন।

কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ভাইরাস মোকাবেলায় সফল হওয়ায় ভিয়েতনাম বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে। লোকজন মাস্ক ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছে এবং প্রচুর মানুষ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েছিল।