উইঘুর : চীনের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ যুক্তরাজ্যের

সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের ‘বড় ধরনের’ এবং ‘গুরুতর’ অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2020, 05:24 PM
Updated : 20 July 2020, 05:24 PM

যুক্তরাষ্ট্রের মত যুক্তরাজ্যও এ ঘটনায় জড়িত চীনা কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।

বিবিসি’কে তিনি বলেন, ‘‘উইঘুর মুসলিমদের জোর করে বন্ধ্যাকরণ এবং নানা ধরনের নিপীড়নের যে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা দীর্ঘ দিন ধরে চলতে দেওয়া যায় না।”

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাজ্য মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

যদিও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শিয়াওমিং উইঘুরদের ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে’ রাখার খবর ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। বিবিসি’কে তিনি বলেন, প্রচলিত আইন মেনে তার দেশে অন্যান্য আদিবাসীর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়, উইঘুরদের সঙ্গেও একই আচরণ করছে সরকার।

সম্প্রতি ড্রোন দিয়ে তোলা কিছু ভিডিওতে উইঘুরদের চোখ বেঁধে ট্রেনে তুলেতে দেখা যায়। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হইচই পড়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার সিকিউরিটি সার্ভিস ওই ফুটেজ যাচাই করে তা সত্য বলে ‍নিশ্চিত করেছে।

চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ বলেন, ওই ভিডিওতে কি দেখানো হয়েছে তা তিনি জানেন না। ‘‘হতে পারে কোনো দেশে কারাবন্দিদের স্থানান্তর করা হচ্ছিল। শিনজিয়াংয়ে এ ধরনের কোনো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প নেই।”

‘প্রশিক্ষণ ক্যাম্প’ এর নামে চীন গত কয়েক বছরে প্রায় ১০ লাখ উইঘুরকে ধরে নিয়ে বন্দি করে রেখেছে বলে নানা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে।

চীন বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, শিনজিয়াংয়ে জঙ্গিবাদ বেড়ে যাওয়ায় সন্ত্রাস দমনে তারা কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মাত্র।

উইঘুরদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি জন্মনিয়ন্ত্রণে বাধ্য করতে উইঘুর নারীদের জোর করে বন্ধ্যা করা হচ্ছে বা শরীরে জন্ম নিয়ন্ত্রণের নানা ডিভাইস বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক বছরে উইঘুরদের জন্মহার অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে।

উইঘুরদের সঙ্গে এ আচরণ আন্তর্জাতিক আইনে গণহত্যার যে বর্ণনা দেওয়া আছে তার সঙ্গে মেলে কিনা জানতে চাইলে রাব বলেন, এ ধরনের দাবি করার আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও বেশি ‘সতর্ক’ হতে হবে।

‘‘তবে আইন যাই বলুক, সেখানে বৃহৎ আকারে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি স্পষ্ট।”