সহিংসতার পর সুদানের নর্থ দারফুরে জরুরি অবস্থা জারি

নর্থ দারফুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি শহরে সহিংসতা ও অস্থিরতার পর ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে সুদান।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2020, 09:47 AM
Updated : 14 July 2020, 10:33 AM

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা এসইউএনএর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আফ্রিকান ইউনিয়ন-জাতিসংঘ মিশন ইন দারফুর (ইউএনএএমআইডি) জানিয়েছে, অজ্ঞাত প্রতিবাদকারীরা একটি পুলিশ স্টেশন ও কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে, এমন প্রতিবেদন পাওয়ার পর তারা নর্থ দারফুর রাজ্যের কুতুম শহরে একটি দল পাঠিয়েছে।

ইউএনএএমআইডি বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, রোববার বিক্ষোভকারীরা অধিক নিরাপত্তা ও বেসামরিক রাজ্য সরকারের দাবি জানিয়েছিল।

রয়টার্স লিখেছে, গত বছরের এপ্রিলে একনায়ক ওমর আল বশিরের পতন হওয়া সত্ত্বেও সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা সুদানের রাজ্যগুলোর গর্ভনরের পদ ধরে রেখেছেন।

পৃথকভাবে স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, সোমবার কুতুম এলাকার ফাতাবারনো গ্রামে প্রতিবাদকারীদের আরেকটি অবস্থানে অজ্ঞাত মিলিশিয়ারা হামলা চালিয়েছে।

এই দুটি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।

২০০৩ সালে প্রধানত অন-আরব বিদ্রোহীরা খার্তুম সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে দারফুরে সংঘাত শুরু হয়। বিদ্রোহ দমন করতে মাঠে নামে সরকারি বাহিনীগুলো ও প্রধানত আবর মিলিশিয়ারা। এই দুটি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যাপক নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ আছে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এই সংঘাতে প্রায় তিন লাখ লোক নিহত হয়েছে।

দারফুরে আরব মিলিশিয়ারা এখনও আছে। তারা নিজেদের দখল করা ভূমির নিয়ন্ত্রণও ধরে রেখেছে। কয়েক বছর ধরে সেখানে গুরুতর কোনো লড়াই না হলেও দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব অমীমাংসিত অবস্থায়ই রয়ে গেছে।

বশিরের পতনের পর সামরিক বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সুদানের ক্ষমতায় থাকা বেসামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিরোধ অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বশির সরকারবিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।