হংকংয়ে নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে লাখো ‘প্রতিবাদী ভোট’

হংকংয়ে চীনের চাপিয়ে দেওয়া নতুন কঠোর নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে প্রতীকী ‘প্রতিবাদী ভোট’ দিয়েছে ৬ লাখেরও বেশি মানুষ।

>>রয়টার্স
Published : 12 July 2020, 07:56 PM
Updated : 12 July 2020, 07:56 PM

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি শিবির রোববার তাদের প্রাথমিক নির্বাচনে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে হংকংয়ের আইন পরিষদ নির্বাচনে শক্তিশালী প্রার্থীদের বাছাই করে নেবে গণতন্ত্রপন্থিরা।

হংকংয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এর আগে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, এভাবে ভোট অনুষ্ঠান করলে তা নিরাপত্তা আইনের লঙ্ঘন হবে।

কিন্তু সে হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দিয়ে হংকংজুড়ে ২৫০ টি ভোটকেন্দ্রে তরুণ-বৃদ্ধ সবাই ভোট দিতে যান।

“এই বিপুল ভোটার সমাগম আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে। আর তা হচ্ছে, হংকংবাসী হার মানে না। আমরা এখনও গণতান্ত্রিক শিবিরের পাশে আছি। আমরা এখনও গণতন্ত্র, স্বাধীনতাকে সমর্থন করি.” বলেন গণতন্ত্রপন্থি এক নেতা।

ভোটের আয়োজকরা বলছেন, দুইদিনের এই প্রাইমারী নির্বাচনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ভোট দিয়েছেন ৫৯২,০০০ জন। আর ২১,০০০ জন ভোট দিয়েছেন ব্যালট পেপারে। ভোটারের এ সংখ্যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আয়োজকদের ধারণা ছিল, ভোটার উপস্থিতি হতে পারে ১ লাখ ৭০ হাজার জন।

কিন্তু নতুন নিরাপত্তা আইনের হুমকির মধ্যেও ৬ লক্ষাধিক মানুষ বেরিয়ে এসে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছে তা বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন এক আয়োজক। বিরোধী এক গণতন্ত্রপন্থি রাজনীতিবিদের কথায়, এ ভোট জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রক্সি গণভোট।

চীনের পার্লামেন্ট গত কিছুদিন আগে নতুন হংকং নিরাপত্তা আইন পাস করেছে। এ আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাঁত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

কিন্তু আইনটিকে হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনতার জন্য হুমকি এবং বৃহত্তর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন সমালো চকরা। চীনের এ আইন পাসের নিন্দা-সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং নেটোও।