দেশটির টেলিভিশন নেটওয়ার্ক ‘টিভি গ্লোবাল’ শুক্রবার তার মৃত্যুর খবর দেয়।
রিও ডি জেনিরোর কাছের একটি মহাসড়কে সিরকিসের গাড়ি একটি পোস্টের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা গেছেন কিনা সে বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
বামপন্থি সাবেক গেরিলা যোদ্ধা সিরকিস ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলে সামরিক শাসনের সময় অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ওই সময়ে বিদেশি কূটনীতিকদের অপরহণ করে তাদের বিনিময়ে শাসকদের কাছ থেকে রাজবন্দিদের ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
দীর্ঘ কয়েক বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর ব্রাজিলে গণতন্ত্র ফিরলে তার এক বছর পর তিনি দেশে ফেরেন। এরপর আরেক পরিবেশবিদ মারিনা সিলভাকে নিয়ে গ্রিন পার্টি গঠন করেন।
মারিনা সিলভা ২০১০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলেন। সে সময় তার পক্ষে প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সিরকিসের।
সিরকিসকে একজন অপরিহার্য সঙ্গী বলে বর্ণনা করে সিলভা বলেন, ‘‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা অনেক রাজনৈতিক লড়াই লড়েছি।
“তিনি অদম্য ছিলেন এবং যা বিশ্বাস করতেন সেটার জন্য প্রাণপন লড়াই করতেন। তিনি প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে সমালোচনাকে সমান গুরুত্ব দিতেন।”
সিরকিস ব্রাজিলের কংগ্রেসের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে আর প্রার্থী হননি।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নানা আন্তর্জাতিক আলোচনায় ব্রাজিলের প্রতিনিধি দলের নিয়মিত সদস্য থাকতেন তিনি। ২০১৫ সালে তিনি ‘ব্রাজিল ক্লাইমেট সেন্টার’ নামে একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত তিনি সরকার-সমর্থিত ‘ব্রাজিলিয়ান ফোরাম ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ’ এর সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো ক্ষমতায় এসে সিরকিসকে বরখাস্ত করেন।