উইঘুর নিপীড়ন:যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি চীনের

শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে ৪ চীনা কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন।

>>রয়টার্স
Published : 10 July 2020, 05:35 PM
Updated : 10 July 2020, 07:04 PM

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞাকে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘অত্যন্ত ক্ষতিকারক’ বলে বর্ণনা করেছে বেইজিং।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) পলিটব্যুরোর সদস্য চেন কাংগুয়ো এবং আরো তিন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই চীনা কর্মকর্তাদের কোনোরকম লেনদেন নিষিদ্ধ হওয়াসহ তাদের সম্পদ জব্দ হওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের একে অপরকে দোষাদোষী এবং হংকং নিয়ে এরই মধ্যে দু’দেশের মধ্যে তিক্ত হয়ে ওঠা সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এ নিষেধাজ্ঞা।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান রাজধানী বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত চীনের অভ্যন্তরীন বিষয়ে মারাত্মক হস্তক্ষেপ।

যুক্তরাষ্ট্রের এ ভুল সিদ্ধান্তের জবাবে মার্কিন কর্মকর্তা এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও একইরকম পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন লিজিয়ান।

যুক্তরাষ্ট্রকে এই ভুল শুধরানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় চীন ‘কড়া পাল্টা পদক্ষেপ’ নেবে।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলছেন, শিনজিয়াংয়ে যে ‘ভয়াবহ ও ধারাবাহিক নিপীড়ন’ চলছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই যুক্তরাষ্ট্র চীনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

“চীনের কমিউনিস্ট পার্টি যেভাবে সেখানে উইঘুর মুসলিম, কাজাখ নৃগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লংঘন করছে, তা যুক্তরাষ্ট্র চুপচাপ দেখে যেতে পারে না”, বলেছেন তিনি।

চীনের বাইরে বিশ্বে উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দ্য ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য দেশকেও একই পথ অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে।