বৃহস্পতিবার দেয়া এ আদেশের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত নিউ ইয়র্কের কৌঁসুলিদের প্রেসিডেন্টের আয়কর বিবরণী দেখার অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট হওয়ায় দায়মুক্তি পাবেন- এ অজুহাতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এতদিন কারও সঙ্গে তার আয়কর বিবরণী শেয়ার করেনি।
নিউ ইয়র্কের কৌঁসুলিরা ছাড়াও ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের দুটি কমিটি প্রেসিডেন্টের আয়কর বিবরণী দেখতে চেয়েছিল।
বৃহস্পতিবারের আদেশে আদালত ট্রাম্পের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য কংগ্রেস সদস্যদের দেয়া যাবে না বলেও জানিয়েছে।
আগের প্রেসিডেন্টদের মতো নিজের আয়কর বিবরণী জনসম্মুখে প্রকাশ না করে চাপে থাকলেও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও সরেননি ট্রাম্প।
অভিশংসন ছাড়া মার্কিন সংবিধান প্রেসিডেন্টকে যাবতীয় অপরাধের তদন্ত থেকে দায়মুক্তি দিয়েছে যুক্তি দিয়ে ট্রাম্পের আইনজীবীরাও শুরু থেকেই এ আয়কর বিবরণী প্রকাশের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন।
কংগ্রেস সদস্যরা প্রেসিডেন্টের আয়কর সংক্রান্ত নথি দেখার জন্য যৌক্তিক কোনো কারণও হাজির করেনি, বলেছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ বিচারকের ৭ জনই প্রেসিডেন্টের আয়কর বিবরণী নিউ ইয়র্কের কৌঁসুলিরা দেখতে পারবেন- এ অবস্থানের পক্ষে সমর্থন জানান।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুরু থেকেই কর ফাঁকি, জালিয়াতি কিংবা ‘স্বার্থের সংঘাত’ বিষয়ক কোনো ধরনের অন্যায়ে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে আসছেন।
তিনি তার কর সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্তকে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন।
“সুপ্রিম কোর্ট মামলাটিকে নিম্ন আদালতে পাঠিয়েছে। যুক্তিতর্ক চলবে। এটা রাজনৈতিক অভিযোগ,” বলেছেন ট্রাম্প।