ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় পুরোপুরি লকডাউনে মেলবোর্ন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ হঠাৎ অনেক বেড়ে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মেলবোর্নে নতুন করে পুরোপুরি লকডাউনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 7 July 2020, 01:45 PM
Updated : 7 July 2020, 01:45 PM

মঙ্গলবার ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মধ্যকার সীমান্ত বন্ধের কয়েকঘণ্টা আগেই লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ছয় সপ্তাহ এই লকডাউন চলবে। এর আওতায় মেলবোর্নের ৫০ লাখ অধিবাসীকে ঘরে থাকতে হবে।

স্থানীয় সময় বুধবার মধ্যরাত থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর হবে। মানুষজন এ সময় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে পারবে না।

রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেগুলো থেকে মানুষ কেবল খাবার নিয়ে যেতে পারবে। জিম, সেলুন সব বন্ধ থাকবে। বাসাতেও দুইজনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে। স্কুলগুলো থাকবে ছুটিতে।

“এই বিধিনিষেধ মেনে চলা কঠিন হলেও তা জরুরি,” বলেছেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল এন্ড্রুস। মহামারী যে এখনও শেষ হয়নি তা বুঝতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপগুলো না নিলে খুব খারাপ একটা পরিস্থিতির দিকে চলে যাওয়ার অবস্থাতেই আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি।”

ভিক্টোরিয়ায় মঙ্গলবার একদিনেই নতুন করে সর্বোচ্চ ১৯১ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এপ্রিলের পর এটিই রাজ্যটিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সংক্রমণ। হঠাৎ এই সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ  ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে তড়িঘড়ি লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে ভিক্টোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্ড্রুস গত সপ্তাহান্তে  রাজ্যর রাজধানী মেলবোর্নের ৩০ টির বেশি শহরতলীতে নতুন করে কড়া সামাজিক দূরত্ব বিধি আরোপ করাসহ ৯ টি পাবলিক হাউজিং টাওয়ার পুরোপুরি লকডাউন করেছিলেন।

মঙ্গলবার রাত থেকে ভিক্টোরিয়া এবং নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সীমান্ত বন্ধেরে পদক্ষেপ কার্যকর রাখতে সেখানে শত শত পুলিশ এবং সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে।

এবার মেলবোর্নসহ এর উত্তরের একটি এলাকাকেও লকডাউনে রাখা হচ্ছে। ওই এলাকাতেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যাওয়ায় মেলবোর্নের মতো একইরকম বিধিনিষেধ সেখানেও জারি করা হচ্ছে।

তাছাড়া, গোটা রাজ্যটিকেই পাশ্ববর্তী নিউ সাউথ ওয়েলস এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়া প্রথম মহামারীর শুরুতেই দ্রুত লকডাউনের পদক্ষেপ নিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দমাতে সফল হওয়ায় বিশ্বে প্রসংশা কুড়িয়েছিল।

বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু অনেক কম। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার ৮শ’ এবং মৃতের সংখ্যা ১০৬ জন।

কিন্তু মে মাস থেকে দেশটি সামাজিক দূরত্ববিধি শিথিল করাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবার করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে।