অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ সিদ্ধান্তে এ সীমান্ত বন্ধ হচ্ছে বলে সোমবার জানিয়েছেন ভিক্টোরিয়া রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়াল এন্ড্রুজ।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পূর্বসতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এ উদ্যোগ কাজে আসবে বলেই তিনি মনে করেন।
এর সিদ্ধান্তের ফলে ১শ’ বছরের মধ্যে এই প্রথম এই দুটি রাজ্যের মধ্যবর্তী সীমান্ত বন্ধ হচ্ছে। এর আগে ১৯১৯ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সময় কর্মকর্তারা সর্বশেষ এই দুই রাজ্যের মধ্যকার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এবার সীমান্ত বন্ধের পর কবে তা আবার খুলবে সে সম্পর্কে কিছু বলেননি ভিক্টোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়া এবং দুই রাজ্য প্রধানমন্ত্রী এর আগে সীমান্ত বন্ধ করা জরুরি নয় বলেই মত দিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।
গত দুসপ্তাহে ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ শ ছাড়িয়ে গেছে। ফলে শহরটিতে আবার কঠোর লকডাউন জারি করতে হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতেই এবার ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়ে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১ টা ৫৯ থেকে সীমান্ত পাহারায় থাকবে সামরিক বাহিনী। যাতে অবৈধভাবে কেউ সীমান্ত পেরুতে না পারে।
অস্ট্রেলিয়া দ্রুত লকডাউনের পদক্ষেপ নিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দমাতে সফল হওয়ায় বিশ্বে প্রসংশা কুড়িয়েছিল।
বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় সংক্রমণ এবং মৃত্যু অনেক কম। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৫শ’র বেশি এবং মৃতের সংখ্যা ১০৬ জন।
কিন্তু মে মাস থেকে দেশটি সামাজিক দূরত্ববিধি শিথিল করাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আবার করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে।