বিধি অনুযায়ী, হজ পালনকারীরা কাবা শরিফে ও কালো পাথরে চুমু খেতে বা স্পর্শ করতে পারবেন না এবং শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছুড়ে মারার জন্য আগে থেকে জীবানুক্ত প্যাকেটজাত পাথর ব্যবহার করতে হবে।
সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হজ পারমিট ছাড়া হজের জন্য পবিত্র স্থান মিনা, মুযদালিফা ও আরাফাতের ময়দানে প্রবেশ ১৯ জুলাই (২৮ জিলক্বদ) থেকে হজের পঞ্চম দিন ১২ জিলহজ পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে।
মহামারীর কারণে এবার কোনো বিদেশিকে হজ করতে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না সৌদি আরব। যারা আগে থেকে সেখানে অবস্থান করছেন, শুধু তারাই হজ করতে পারবেন।
হজ চলাকালে কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলে তার ও সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পরিস্থিতি চিকিৎসকের পর্যালোচনার পরই কেবল হজ শেষ করার অনুমতি দেওয়া হবে। তাদের জন্য আলাদা আবাসন, পরিবহন ও ভ্রমণসূচির ব্যবস্থা করা হবে।
উচ্চ মাত্রার জ্বর, কফ, গলা ব্যাথা ও হঠাৎ ঘ্রাণ ও স্বাদ হারিয়ে ফেলার মতো উপসর্গ দেখা গেলে তাকে হজ করতে দেওয়া হবে না।
হজ পালনকারী ও হজে দায়িত্বপালনকারীদের অবশ্যই সুরক্ষা মাস্ক পড়তে হবে এবং তা ব্যবহার শেষে সুনির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
হজ পালনকারীরা যেখানেই সমবেত হোন কেন দুই জনের মধ্যে অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
খাবার পানি ও জমজমের পানি একবার ব্যবহারযোগ্য কন্টেইনারে সংগ্রহ করা যাবে। মক্বার গ্রান্ড মস্কো ও পবিত্র স্থানগুলোর রেফ্রিজারেটর সরিয়ে ফেলা হবে এবং সেগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
হজ পালনকারীদের প্রত্যেককে আগে থেকে প্যাকেটজাত খাবার দেওয়া হবে।
আরাফাত ও মুযদালিফায় হজ পালনকারীদের অবশ্যই নির্ধারিত স্থানে অবস্থান করতে হবে। সেক্ষত্রে হজ বিধিবিধান কড়াকাড়িভাবে মেনে চলতে হবে।
তাবু এলাকার ৫০ বর্গমিটারের মধ্যে ১০ জনের বেশি হজ পালনকারী থাকতে পারবে না।
আগের জামারাতে পাথর কুড়িয়ে শয়তানের উদ্দেশে ছুঁড়ে মারা হত, এবার সেটা করা যাবে না। ব্যাগে জড়ানো আগে থেকে জীবাণুমুক্ত করা পাথর সবাইকে সরবরাহ করা হবে।
কাবা ও কালো পাথরের চারপাশে অবরোধ দেওয়া থাকবে যাতে কেউ কাছে না যেতে পারে। সেখানে কড়া নজরদারি থাকবে।
তওয়াফের জন্য কাবার চারপাশ এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানোর স্থানকে প্রতি দল হজ পালনকারী ব্যবহারের আগে ও পরে জীবাণুমুক্ত করা হবে।