হংকংয়ের লাইব্রেরি থেকে উধাও গণতন্ত্রের বই

হংকংয়ে বিশিষ্ট গণতন্ত্রপন্থি কর্মীদের লেখা বই পাবলিক লাইব্রেরিগুলো থেকে উধাও হয়ে গেছে।

>>রয়টার্স
Published : 5 July 2020, 02:20 PM
Updated : 5 July 2020, 02:20 PM

হংকংয়ে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইন আরোপের কয়েক দিনের মাথায়ই বইগুলো উধাও হয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে অনলাইন রেকর্ডে।

লাইব্রেরি পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বলছে, বইয়ের লেখাগুলো পুনপর্যালোচনা করে দেখা হবে যে তাতে নতুন নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘিত হয়েছে কিনা।

‘দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ পত্রিকার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, অন্তত ৯ টি বই উধাও হয়েছে কিংবা ‘পুনঃপর্যালোচনাধীন’ লেখা চিহ্ন দেওয়া হয়েছে।

এসব বইয়ের মধ্যে আছে বিশিষ্ট তরুণ গণতন্ত্রপন্থি কর্মী জোশুয়া ওং এবং গণতন্ত্রপন্থি রাজনীতিবিদ তানয়া চ্যানের লেখা বই।

পাবলিক লাইব্রেরির ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওং, চ্যান এবং স্থানীয় পণ্ডিত চিন ওয়ানের কমপক্ষে তিনটি বই আর পাওয়া যাচ্ছে না।

শনিবার ওং এক টুইটে বলেছেন, নতুন আইনটিতে হংকংয়ে চীনা মূলভূখন্ডের-ধাঁচের একটি সেন্সরশীপের নিয়ম আরোপিত হয়েছে। যা আদতে বই নিষিদ্ধের পদক্ষেপ থেকে এক ধাপ দূরের পদক্ষেপ।

চীনের পার্লামেন্ট গত মঙ্গলবার নতুন হংকং নিরাপত্তা আইন পাস করেছে। এ আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাঁত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

১ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এর আওতায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

চীনের ভাষ্য, অস্থিরতা প্রশমন এবং ব্যাপক গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সামাল দিতেই এ আইন প্রয়োজন। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্যও আইনটি হুমকি নয় বলে দাবি চীনের।

কিন্তু আইনটিকে হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনতার জন্য হুমকি এবং বৃহত্তর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন সমালোচকরা।

চীনের এ আইন পাসের নিন্দা-সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং নেটোও।