আগামী ১০ জুলাই থেকে ফ্রান্স, ইতালি এবং স্পেনসহ ৫০ টিরও বেশি দেশের ভ্রমণকারীদেরকে ইংল্যান্ডে ঢুকলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মানতে হবে না।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণকারীরা এ নিয়ম থেকে রেহাই পাবেন না। যুক্তরাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুক্রবার একথা জানিয়েছেন। রেড লিস্টে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম প্রযোজ্য।
করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় যুক্তরাজ্য সরকার ট্র্যাফিক লাইট পদ্ধতির মতো- লাল, হলুদ এবং সবুজ-এর ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের তালিকা তৈরি করছে।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন বহু রাজ্যে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিদিনই আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র খুবই অনিরাপদ বিবেচনায় দেশটিকে লাল তালিকায় রাখা হয়েছে বলে জানান ব্রিটিশ পরিবহনমন্ত্রী।
তাছাড়া, বিবিসি’কে তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র শুরুর দিকে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো থেকে ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছিল। সে কারণে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ শিথিল করা ৫০ টির বেশি দেশের তালিকা শুক্রবারই প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী।
ইংল্যান্ডের নেওয়া নতুন নিয়ম কতটা কাজে দিচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডও পরে তাদের নিজস্ব নিয়ম ঘোষণা করবে।
কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদের সীমান্ত খোলার পর ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও তাদেরকে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার দুটি ভিন্ন তালিকা তৈরি করেছে।
সে তালিকাতেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের এখনই ইউরোপে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার ব্যাপারে মতৈক্য হয়েছে।