হংকংয়ে কট্টরপন্থি নিরাপত্তাপ্রধান নিয়োগ করল চীন

হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান হিসাবে কমিউনিস্ট পার্টির কট্টরপন্থি এক কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে চীন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2020, 02:34 PM
Updated : 3 July 2020, 03:14 PM

চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বাস্তবায়ন তদারক করতে হংকংয়ে স্থাপন করা হচ্ছে শক্তিশালী নতুন নিরাপত্তা সংস্থা। এ সংস্থারই প্রধান হিসাবে জ্যাং ইয়ানশিওংকে নিয়োগের ঘোষণ দেওয়া হয়েছে শুক্রবার।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় উকান গ্রামে ২০১১ সালে ভূমিবিরোধ নিয়ে বিক্ষোভ কঠোরপন্থায় দমনের জন্য পরিচিত ইয়ানশিওং। বিক্ষোভকারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যর জন্যও তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি।

এ কর্মকর্তাই এখন নতুন নিরাপত্তা আইনে হংকংয়ে গড়ে তোলা নিরাপত্তা সংস্থার কর্ণধার হচ্ছেন। তিনি এ পর্যন্ত চীনের গুয়াংডং প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কমিটির মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

নিরাপত্তা আইনের আওতায় চীনা মূলভূখন্ডের কর্মকর্তাদের এখন এই প্রথম হংকংয়ে প্রকাশ্যে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

হংকংয়ের নতুন নিরাপত্তা সংস্থা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোয়েন্দা কাজকর্ম তদারক করবে এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে গোয়েন্দা তথ্য মূল ভূখন্ডের কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করবে।

হংকং সরকার এরই মধ্যে তাদের একটি নিজস্ব জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে। এ কমিটির প্রধান নির্বাহী লাম শেং ইউত।

আর হংকংয়ের নেতার স্থানীয় এই কমিটি বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবেন সেখানকার বেইজিং লিয়াঁজো কার্যালয়ের পরিচালক লু হুইনিং।

চীনের পার্লামেন্ট গত মঙ্গলবার নতুন হংকং নিরাপত্তা আইন পাস করেছে। এ আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাঁত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

 ১ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর এর আওতায় ব্যাপক ধরপাকড়ও শুরু করেছে পুলিশ।

চীনের ভাষ্য, অস্থিরতা প্রশমন এবং ব্যাপক গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সামাল দিতেই এ আইন প্রয়োজন। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্যও আইনটি হুমকি নয় বলে দাবি চীনের।

কিন্তু আইনটিকে হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকর্মীরা। চীনের এ আইন পাসের নিন্দা-সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং নেটোও।