বতসোয়ানায় সাড়ে তিনশ হাতির ‘রহস্যজনক মৃত্যু’

বতসোয়ানার একটি দ্বীপে দুই মাসে সাড়ে তিনশর বেশি হাতির ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর খবর দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2020, 09:35 AM
Updated : 3 July 2020, 10:18 AM

মৃত হাতিদের দাঁত অক্ষত থাকায় চোরাশিকারিরা সেগুলোকে হত্যা করেনি বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও প্রাকৃতিক, বিষক্রিয়া না অন্য কোনো কারণে এই বিপুল সংখ্যক হাতির মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বতসোয়ানার সরকার বলেছে, তারা কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের তিনটি ল্যাবরেটরিকেও মৃত হাতিদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে বলবে।

আফ্রিকা মহাদেশে যত হাতি আছে, বতসোয়ানায় তার প্রায় এক তৃতীয়াংশের দেখা মেলে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দেশটিতে প্রায়ই বিভিন্ন বিষক্রিয়া ও রোগে হাতি মৃত্যুর খবর মিললেও ওকাভাঙ্গো দ্বীপে হাতি মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউর কর্মকর্তা নিয়াল ম্যাককান জানান, স্থানীয় সংরক্ষণবিদরা মে মাসের শুরুতেই দ্বীপটিতে শতাধিক হাতির ‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর’ খবর দিয়েছিলেন।

বিমান থেকে করা জরিপে মৃতদেহগুলোর মধ্যে সব বয়সী হাতিরই দেখা মিলেছে, বতসোয়ানার সরকারের জন্য করা এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলেছে এলিফ্যান্ট উইদাউট বর্ডারর (ইডব্লিউবি)। 

“তিন ঘণ্টার উড্ডয়নেই তারা ১৬৯টির মতো হাতির মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল। এত কম সময়ে এতগুলো মৃত হাতির দেখা পাওয়া সত্যিই অভূতপূর্ব ঘটনা। এক মাস পর আরও অনুসন্ধানে সাড়ে তিনশর বেশি হাতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

"খরা বাদে কোন একটি কারণে এত বিপুল পরিমাণ প্রাণী মারা যাওয়ার ঘটনা দেখা যায় না। সেখানে শুধু হাতিই মারা যাচ্ছে, অন্য কোন প্রাণী নয়। যদি চোরাশিকারিদের দেয়া সায়ানাইডে মারা যেতো, তাহলে হাতি বাদে অন্য আরো পশু থাকতো," বলেছেন ম্যাককান।

হাতিগুলোর মৃত্যু অ্যানথ্রাক্সের বিষক্রিয়ায় হয়েছে, এমন ‘সম্ভাবনা কম’ হলেও ধারণাটিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিচ্ছেন না ন্যাশনাল পার্ক রেসকিউর এ কর্মকর্তা।

প্রকৃত কারণ না জানার আগ পর্যন্ত হাতিগুলো কোনো রোগে মারা গেছে কিনা, এবং সে রোগ মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ম্যাককান।

গত বছর অ্যানথ্রাক্স বিষক্রিয়ায় বতসোয়ানায় শতাধিক হাতি মারা গিয়েছিল।