প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন বৃহস্পতিবার ক্লার্কের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার কথা নিশ্চিত করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ক্লার্ক বলেছেন, “আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে নেওয়া সব সিদ্ধান্তের পুরো দায় নিচ্ছি।” দেশে এখন কমিউনিটি সংক্রমণের প্রকোপ নেই। তাই এ পদ থেকে সরে যাওয়ার এখনই মোক্ষম সময়, বলেন তিনি।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে নিউ জিল্যান্ডে লকডাউন চলাকালে তা কয়েকবার ভাঙার জন্য সমালোচিত হয়ে আসছিলেন ক্লার্ক।
গত এপ্রিলে লকডাউনের মধ্যে প্রথম সপ্তাহিক ছুটিতেই গাড়িতে করে সপরিবারে ২০ কিলোমিটার দূরে সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। পাহাড়ে সাইক্লিংয়েও যান তিনি।
তখনই ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন। কিন্তু সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে সে সময় দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।
এবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয়দের প্রতি নিউ জিল্যান্ডের মানুষের আস্থা থাকা দরকার বিবেচনায় ক্লার্কের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে রাজি হলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা।
ক্লার্কের জায়গায় স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব নিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স।
করোনাভাইরাস মহামারী সামাল দেওয়ায় বিশ্বে প্রসংশা কুড়িয়েছে নিউ জিল্যান্ড। দেশটিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ হাজার ৫২৮ এবং মারা গেছে ২২ জন।
গত মাসে নিউ জিল্যান্ড বিধিনিষেধ তুলে নিয়ে নিজেদের করোনাভাইরাস মুক্ত দেশ হিসাবে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু এর কিছুদিনের মধ্যেই ফের দেশটিতে ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর পাওয়া গেছে।