রাশিয়ার ভোটে ২০৩৬ সাল পর্যন্ত পুতিনের ক্ষমতায় থাকার পথ সুগম

সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে বিপুল ভোটের মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার দ্বার খুলে দিয়েছে রাশিয়ার নাগরিকরা।

>>রয়টার্স
Published : 2 July 2020, 01:51 PM
Updated : 2 July 2020, 01:51 PM

রাশিয়ার পার্লামেন্টে সম্প্রতি পাস হওয়া সংবিধান সংশোধনের ওপর সাত দিনের ম্যারাথন ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ হয়েছে বৃহস্পতিবার।

এতে দেখা গেছে, ৭৭ দশমিক ৯ শতাংশ রুশই সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আর বিপক্ষে পড়েছে মাত্র ২১ দশমিক ৩ ভোট।

এ জনরায়ের ফলে পুতিন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ তার বর্তমান মেয়াদ শেষের পরও আরও দুই মেয়াদে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকার সুযোগ পেলেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রধান ভোট স্বচ্ছ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তবে বিরোধীদলীয় নেতারা ভোটের নিন্দা করে বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে পুতিন আজীবন ক্ষমতায় থাকারই কৌশল নিয়েছেন।

তবে পুতিন বরাবরাই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।বর্তমানে পুতিন টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।

ফলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য পুতিন ক্ষমতা ছাড়বেন, নাকি সংবিধান পরিবর্তন করবেন তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে তিনি দেশজুড়ে এই ভোট অনুষ্ঠান করলেন।

৬৭ বছর বয়স্ক পুতিন মেয়াদ শেষের পর আবার নির্বাচনে দাঁড়াবেন কিনা তা এখনও বলেননি। তবে আবার দাঁড়ানোর বিকল্প পথটি থাকা জরুরি বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন।

সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাবের উপর রাশিয়ায় ভোট ১ জুলাই হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ভিড় এড়াতে কর্তৃপক্ষ সপ্তাহখানেক আগেই ভোট শুরু করে।

পুতিন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাশিয়ার ১৯৯৩ সালের সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব দিলে পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে তা গৃহীত হয়।

পরে পুতিন সংবিধান সংশোধন নিয়ে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিকভাবে এপ্রিলে ভোটের তারিখ ঠিক হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে যায়।