করোনাভাইরাস: যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের নতুন রেকর্ড

যুক্তরাষ্ট্রে মহামারী শুরুর পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2020, 08:42 AM
Updated : 1 July 2020, 04:38 PM

রয়টার্সের টালি অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশটিতে আরও ৪৭ হাজার করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

খুব শিগগিরই আক্রান্তের সংখ্যা এর দ্বিগুণ হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির সরকারের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ।

এ দিন রেকর্ড সংখ্যক কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও অ্যারিজোনা। এই তিনটি রাজ্য যুক্তরাষ্ট্রে মহামারীর নতুন উপকেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম ও পেনশন বিষয়ক কমিটিকে দেশটির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের প্রধান ড. অ্যান্থনি ফাউচি বলেন, “পরিষ্কারভাবে আমরা এই মুহূর্তে পুরো নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, কারণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ভাইরাসের পুনরুত্থান রোধে দেশব্যাপী উদ্যোগ নেয়া না হলে দৈনিক নতুন রোগী বৃদ্ধির সংখ্যা এক লাখে পৌঁছে যেতে পারে।

“যে এলাকাগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে শুধু সেখানেই মনোযোগ দিলেই হবে না, এটি পুরো দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে,” বলেন তিনি।

প্রাথমিক তথ্যগুলো আশাজাগানিয়া হওয়া সত্ত্বেও ভ্যাকসিনের কোনো নিশ্চয়তা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

“আশা করি আগামী বছরের শুরুতে ওষুধ পাওয়া যাবে,” বলেন তিনি।

রয়টার্সের একটি টালিতে দেখা গেছে, জুনে টেক্সাস, ফ্লোরিডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১০টি রাজ্যে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গেছে।

টেক্সাস ও অ্যারিজোনার কয়েকটি অংশে হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত শয্যা নেই।  

বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ ড্যাশবোর্ডের হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৫৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ জনের।

এই মহামারীর প্রকোপে দেশটির রাজ্যগুলোর ও প্রধান প্রধান শহরগুলোর কর্তৃপক্ষ তাদের বাসিন্দাদের বাড়িতে অবস্থান করার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এ সময় দেশজুড়ে লাখ লাখ লোক চাকরি হারায়।

এই পরিস্থিতিতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির দ্রুত সঙ্কোচন ঘটে যা দ্বিতীয় প্রান্তিকেও অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।