কঙ্গোতে ঔপনিবেশিক আমলের নৃশংসতার জন্য ‘দুঃখ প্রকাশ’ বেলজিয়ামের রাজার

ঔপনিবেশিক আমলের ৭৫ বছরে কঙ্গোকে যে ‘দুর্ভোগ ও অপমান’ সহ্য করতে হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2020, 11:57 AM
Updated : 30 June 2020, 11:57 AM

বেলজিয়ামের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদিকে লেখা এক চিঠিতে মঙ্গলবার তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে বেলজিয়ামের রাজপ্রাসাদ। 

এর মাধ্যমে ঔপনিবেশিক অতীত নিয়ে এই প্রথম বেলজিয়ামের কোনো মুকুটধারী রাজা দুঃখ প্রকাশ করলেন।

“অতীত সেসব ক্ষত, কষ্ট- যা আমাদের সমাজে এখনও বিদ্যমান বৈষম্য থেকে প্রায়ই উৎসারিত হয়, তার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি,” চিঠিতে এমনটাই লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।     

৫২ বছর বেলজিয়ামের শাসনে থাকার পর মধ্য আফ্রিকার দেশ ডিআরসি ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা পায়। আর ১৯০৮ সালের আগে টানা ২৩ বছর ভূখণ্ডটি ছিল বেলজীয় রাজা লিওপোল্ড দুই-এর ব্যক্তিগত সম্পত্তি।

“লিওপোল্ডের শাসনামলে যে নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ঔপনিবেশিক আমল ছিল দুর্ভোগ ও অপমানের,” লিখেছেন ফিলিপ।

ইতিহাসবিদদের মতে, রাজা লিওপোল্ড দুই-এর আমলে কঙ্গোতে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, অঙ্গহানি করা হয়েছিল অসংখ্য মানুষের।

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বিশ্বজুড়ে গড়ে ওঠা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে বেলজিয়ামে লিওপোল্ডের একাধিক মূর্তি হয় উপড়ে ফেলা হয়েছে, নয়তো কালি লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

ডিআরসির প্রেসিডেন্টকে লেখা চিঠিতে ফিলিপ ‘সব ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত’ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বর্ণবাদ এবং ঔপনিবেশিক অতীত নিয়ে বেলজিয়ামের পার্লামেন্ট যে নতুন একটি কমিশন গঠন করেছে তাকেও স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।  

কঙ্গোর স্বাধীনতার বর্ষপূর্তির আয়োজনে অংশ নিতে ফিলিপের দেশটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শেষ পর্যন্ত তা হয়ে উঠেনি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।