তেহরানের সরকারি কৌসুলিঁ আলি আলকাসিমেহর সোমবার একথা জানিয়ে বলেছেন, শুধু ট্রাম্পই নন, আরও ৩৫ জনের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি হয়েছে। ইরানের ফার্স বার্তা সংস্থা এ খবর দিয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারিতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় নিহত হন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডসের এলিট কুদ'স ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানি।
ইরানি এই কমান্ডার ওই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর হামলার হোতা ছিলেন বলে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের।
ইরানি কৌসুলিঁ আলি আলকাসিমেহর বলেন, হত্যা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ট্রাম্প ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তারা আছেন বলে জানিয়েছেন আলি। তবে তাদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। আলি বলেন, ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষের পরও ইরান এ মামলা চালিয়ে যাবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীতে জেনারেল কাসেম সোলেমানি ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে দেওয়া হত জাতীয় বীরের সম্মান।
তার কুদস ফোর্স কাজ করে মূলত বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর ‘ফরেইন উইং’ হিসেবে। এই বাহিনী জবাবদিহি করে সরাসরি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে।
সোলেমানি হত্যাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরান সশস্ত্র সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। সোলেমানি নিহতের ঘটনার কয়েকদিন পরই ইরাকের মার্কিন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে এর পালটা জবাব দেয় ইরান।