চীন হংকংয়ে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চাপানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সদ্যই হংকংয়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে চীনকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, হংকংবাসীদের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য সাবেক কিংবা বর্তমান যে কোনো চীনা কর্মকর্তা দায়ী বলে গণ্য হলেই তার ওপর ওয়াশিংটনের নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে।
সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের জবাবে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন ব্যক্তিবর্গের ভিসায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। তবে কারা এ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
সাংবাদিকদের লিজিয়ান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হংকংয়ে চীনের জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা কখনও সফল হবে না।”
“চীন… এর পাল্টায় যুক্তরাষ্ট্রের যেসব ব্যক্তিবর্গ হংকং সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে বেপরোয়া আচরণ করেছে তাদের ওপর ভিসা কড়াকড়ি আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট পাস করেছে ‘হংকং স্বায়ত্ত্বশাসন আইন’। এর আওতায় হংকংয়ের স্বায়ত্ত্বশাসনের টুঁটি চিপে ধরার চীনের চেষ্টায় কেউ সমর্থন দিলে সেই ব্যক্তি বা কোম্পানি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে।
তাছাড়া, বিলটিতে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপেরও উল্লেখ রয়েছে। হংকংয়ের স্বায়ত্ত্বশাসন খর্বের কোনোরকম চেষ্টায় সমর্থন দেওয়া কারো সঙ্গে কোনো ব্যাংকের লেনদেন থাকলে সেই সব ব্যাংকের ওপর আরোপ হবে এ নিষেধাজ্ঞা।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, চীন এ বিল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে এবং হংকং নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের পাল্টায় বেইজিং কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্কও করেছে।