মানুষকে দূরে থাকতে হচ্ছে এই সব আচার-অনুষ্ঠানের জমায়েত থেকেও। মর্গগুলোতে মৃতদেহ উপচে পড়ে দাফন-কাফনের ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠলেও প্রিয়জনকে ঠিকমত শেষ বিদায়ও জানাতে পারছেন না স্বজনরা; বিশ্বজুড়েই দেখা যাচ্ছে এ পরিস্থিতি।
ইসরায়েলে মুসলিমরা মৃতদেহ গোসল করানোর রীতি পালন করতে পারছে না। কাফনের কাপড় ব্যবহারের পরিবর্তে মৃতদেহগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়ে দাফন করতে হচ্ছে।
ইহুদিদের মৃত্যুর পর মৃতের বাড়িতে গিয়ে সাত দিন ধরে শোক পালনের যে নিয়ম আছে (শিভা), সেটিও বিঘ্নিত হচ্ছে।
ইতালিতে ক্যাথলিকদের মৃতদেহ শেষকৃত্য ও যাজকের আশীর্বাদ ছাড়াই কবর দেওয়া হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় এক পর্যায়ে অধিকাংশ লাশই পোড়াতে হয়েছে। এমনকী নগরীর শবদাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা ওভারটাইম করতে বাধ্য হয়েছেন।
রাতে লাশ দাহ করেছেন তারা। মৃতের স্বজনরা প্রায়ই প্রিয়জনকে শেষ বিদায় জানাতে পারেননি।
ইরাকে মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাসে মৃতদের দাফনের কাজে নেমেছেন, হাতের অস্ত্র ফেলে কোদাল তুলে নিয়েছেন তারা। মুসলিম ছাড়াও খ্রিস্টানদের কীভাবে সমাহিত করতে হয় তাও শিখেছেন তারা।
এভাবেই মানুষের এতদিনকার সামাজিক-ধর্মীয় রীতি বদলে যাচ্ছে শুধুমাত্র একটি ভাইরাসের আতঙ্কে- যার শেষ কোথায় এখনও জানে না বিশ্ব।