চীনের ক্ষমতাসীন দলের ‘সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা’ এ বিধিনিষেধের আওতায় পড়বেন, বলেছেন তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা নতুন নিরাপত্তা আইন নিয়ে বেইজিংকে শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ওই প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতাতেই এ বিধিনিষেধ দেয়া হচ্ছে বলে শুক্রবার পম্পেও জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে ‘ভুল হচ্ছে’ অ্যাখ্যা দিয়ে চীন ওয়াশিংটনকে শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
হংকং নিরাপত্তা আইন নিয়ে চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে বিধিনিষেধ আরোপের বিষয়ে জানানো হল।
রোববার থেকে শুরু হওয়া স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকেই নিরাপত্তা আইনটির খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন এ আইনে ‘বেইজিংয়ের কর্তৃত্বকে অবজ্ঞা’ অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের কয়েকদিন আগের এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল।
আইনটির মাধ্যমে হংকংয়ে নতুন একটি নিরাপত্তা দপ্তর স্থাপনের পথও খুলে যেতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা।
শুক্রবার পম্পেওর বিবৃতিতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কোন কোন কর্মকর্তার উপর বিধিনিষেধ আরোপ হচ্ছে, তা জানানো হয়নি।
মার্কিন সিনেটে সম্প্রতি হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন খর্বের চেষ্টার সঙ্গে জড়িত চীনা কর্মকর্তা এবং তাদের সঙ্গে লেনদেন করা ব্যাংকগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।
ওয়াশিংটনের এসব পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাস।
“যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া এ ধরনের অন্যায় সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছি। যুক্তরাষ্ট্রকে শিগগিরই তাদের ভুল সংশোধন করে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি আমরা,” টুইটারে দেয়া পোস্টে এমনটাই বলেছে ওয়াশিংটনের চীন দূতাবাস।