বিদেশি কর্মীদের ভিসায় ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত এইচ-১বি-সহ একাধিক ভিসা স্থগিত করেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 23 June 2020, 12:22 PM
Updated : 23 June 2020, 12:22 PM

সোমবার এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ সই করেছেন ট্রাম্প। তার এ সিদ্ধান্তে বহু খাতের কর্মীরা ভিসা পাবেন না।

কম্পিউটার প্রোগামার থেকে শুরু করে অন্যান্য দক্ষ-কর্মী যারা এইচ-১বি ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান তারা-সহ সেবাখাত ও মৌসুমী কর্মীরাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

হোয়াইট হাউস বলছে, ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের ফলে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিপাকে পড়া মার্কিন নাগরিকদের জন্য চাকরির ‍সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ ভাষ্য মানছেন না সমালোচকরা। মহামারীর সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হোয়াইট হাউস অভিবাসন নীতি কঠোর করছে বলে অভিযোগ তাদের।

সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়েছে- এল-১ (আন্তঃকোম্পানি বদলি ভিসা), এইচ-১বি (বিশেষ পেশায় দক্ষ ও শিক্ষিতদের ভিসা), এইচ-৪ (স্পাউজ ভিসা), এইচ-২বি ভিসা (সেবাখাত ও মৌসুমি কাজ) এবং জে-১ (ছাত্র-গবেষক ও চিকিৎসকদের দেওয়া ভিসা)।

শুধু বিদেশি কর্মী ভিসাই নয়, নতুন গ্রিনকার্ড ইস্যুর ওপরও নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছেন ট্রাম্প। ফলে কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় পাঁচ লাখ ২৫ হাজার বিদেশি কর্মী এ বছর আর যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে এপ্রিলে ৬০ দিনের জন্য বিদেশি কর্মী ভিসা এবং গ্রিনকার্ডে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। এবার তা চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাড়ানো হল।

এপ্রিলের আদেশের মতই এবারের আদেশেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যারা আছে তাদের জন্য। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে ২৪ জুন থেকে।

বিবিসি জানায়, প্রতিবছর ইস্যু হওয়া ৮৫ হাজার এইচ-১বি ভিসার প্রায় ৭০ শতাংশই পায় ভারতীয়রা। এবার করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে যারা দেশে ফিরে গেছে তাদেরকে এ বছরের শেষ পর্যন্ত আর যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রক্ষণশীলরা।“যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের চাকরির সুরক্ষায় এটি ট্রাম্প প্রশাসনের সাহসী পদক্ষেপ,” বলেছেন, ভিসায় বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে থাকা ‘সেন্টার ফর ইমিগ্রেশন স্টাডিজ’ এর প্রধান নির্বাহী মার্ক ক্রিকোরিয়ান।

আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও বিদেশি কর্মীদের উপর নির্ভরশীল মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে।

“কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে অভিবাসন আইনের চেহারা বদলে দিতে মহামারীর সুযোগকে কাজে লাগানো হচ্ছে ,” বলেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন।