জার্মানিতে সহিংসতা-লুটপাট, পুলিশের ওপর হামলা

জার্মানির স্টুটগার্টে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শহরের কেন্দ্রস্থলে এক দল লোক একাধিক দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট করেছে। পুলিশের ওপরও চড়াও হয় তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2020, 04:25 PM
Updated : 21 June 2020, 04:25 PM

শনিবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিমালীয় শহর স্টুটগার্টে এই বিশৃঙ্খলা শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন এবং ১২ টি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন শহরের কেন্দ্রস্থলে দোকানপাট ভাঙচুর করছে, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বড় বড় পাথর ও অন্যান্য ভারি জিনিস ছুড়ে মারছে।

বিবিসি জানায়, শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি চত্বরে একশ থেকে ২শ’ মানুষ পুলিশের দিকে পাথর এবং বোতল ছুড়ে মারে। পরে আরো শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা শুরু করে। তাদের বেশির ভাগেরই মাথায় হুড এবং মুখে মাস্ক পরা ছিল।

স্টুটগার্ট পুলিশ বলছে, শহরের মাদক কারবারের একটি ঘটনা পুলিশ খতিয়ে দেখতে গেলে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

শহরের ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ওই মাদক কারবারের ব্যাপারে ১৭ বছর বয়সী একজনকে পুলিশ জেরা করতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

সহিংসতার ভয়াবহতা দেখে হতভম্ব হয়ে গেছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং নাগরিকরা। সম্প্রতি কয়েক বছরে স্টুটগার্টে এমন ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ বলছেন তারা।

মোবাইল ফোন এবং অলংকারের দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট হয়েছে। হামলা হয়েছে ফাস্ট ফুডের দোকানেও। মোট ৪০ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৯ টি দোকনে লুটপাট হয়েছে।

দাঙ্গাকারীরা পুলিশের গাড়ির ওপর পাথরবৃষ্টি বইয়ে দিয়েছে, ছুড়েছে অন্যান্য ভারী জিনিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত দু’শতাধিক পুলিশ শহরের কেন্দ্রস্থলে মোতায়েন করা হয়।

রোববার ভোরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে এলেও সকালের দিকে কিছু মানুষ ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে।

দাঙ্গার ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের ১২ জন জার্মান এবং ১২ জন জার্মানির নয়। পুলিশ  ঘটনার বর্ণনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এবং মোবাইল ফোনের ফুটেজ চেয়েছে।

শহরের মেয়র বলেছেন, “রাতভর যে তাণ্ডব চলেছে সেকথা আজ সকালে জানতে পেরে আমি স্তম্ভিত। পুলিশের ওপর এমন হামলার রাত স্টুটগার্টে কখনও দেখা যায়নি। কারণ যাই হোক এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।”