বুধবার মালির উত্তরাঞ্চলে চালানো এ অভিযানে আবদেলমালিক দ্রুকদেল ছাড়াও তার তার ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন সহচরও নিহত হয়েছে বলে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পারলে নিশ্চিত করেছেন।
গত মাসে অন্য এক অভিযানে ফ্রান্সের সৈন্যরা জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ঊর্ধ্বতন এক কমান্ডারকেও আটক করেছিল বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
“সাহেল অঞ্চলের অংশীদারদের সহযোগিতায় আমাদের বাহিনী জঙ্গিদের নিরলসভাবে তাড়িয়ে বেড়াবে,” বলেছেন পারলে।
বুধবারের ‘দুঃসাহসিক অভিযান’ আফ্রিকার জঙ্গিদের জন্য বড় ধরনের আঘাত হেনেছে বলেও মন্তব্য তার।
দ্রুকদেল আল-কায়েদা ইন দ্য ইসলামিক মাগরেবের (একিউআইএম) প্রধান ছাড়াও জঙ্গিগোষ্ঠীটির সাহেল অঞ্চলে ক্রিয়াশীল শাখা জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিনিরেরও (জেএনআইএম) দায়িত্বে ছিলেন।
১৯ মে মালিতে চালানো অন্য অভিযানে আটক মোহাম্মদ ম্রাবাত আইএসের বৃহত্তর সাহারা অঞ্চলের (আইএসজিএস) অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার, বলেছেন পারলে।
গত মাসের শুরুতে মালি ও বুরকিনা ফাসোতে আইএস ও আল-কায়েদার মধ্যে তুমুল লড়াই বেধেছিল।
সেসময় আইএসজিএস তাদের অবস্থানের উপর হামলা, রসদ সরবরাহে বাধা ও সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য জেএনআইএমকে অভিযুক্ত করেছিল।
মার্চে সাহেল অঞ্চলে কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আইএস অঞ্চলটিতে ত্রাস হয়ে উঠেছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দ্রুকদেল বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত।
তার নেতৃত্বে একিউআইএম তিউনিসিয়া, নাইজার, মালি, আলজেরিয়া ও বুরকিনা ফাসোতে স্থানীয় ও বিদেশি নাগরিকদের অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় ও একের পর এক বোমা হামলা চালিয়ে আসছিল।
দ্রুকদেলকে ২০১৬ সালে ওয়াগাদৌগৌর একটি হোটেলে নৃশংস বোমা হামলারও মূল পরিকল্পনাকারী বলা হয়। বুরকিনা ফাসোর রাজধানীতে ওই হামলায় ৩০ জন নিহত ও প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছিল।