যুক্তরাষ্ট্রে চীনের যাত্রীবাহী বিমান নামায় নিষেধাজ্ঞা

আগামী ১৬ জুন থেকে চীনের কোনো যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ যুক্তরাষ্ট্রে নামতে দেওয়া হবে না।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2020, 01:23 PM
Updated : 4 June 2020, 01:38 PM

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলার মধ্যেই নতুন এই নিষেধাজ্ঞা এল বলে বিসিসি জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর জানিয়েছে, চীনে মহামারীর প্রকোপ কমার পরও যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইনগুলোকে দেশটিতে ফ্লাইট আবার চালু করতে বেইজিং অস্বীকৃতি জানানোয় এ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশ করোনাভাইরাস ও হংকং বিষয়ে চীনা নীতি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।

এ নিষেধাজ্ঞা চারটি এয়ারলাইন্সের উপর পড়বে – এয়ার চায়না, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স ও হাইনান এয়ারলাইন্স। মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পরও দুই দেশের মধ্যে এয়ারলাইনগুলো স্বল্প পরিসরে হলেও ফ্লাইট চালু রেখেছিল।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদন লাগবে, যিনি প্রায়ই চীনকে অন্যায্য বাণিজ্য চালানোর জন্য দায়ী করে আসছেন। আর সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস ও হংকংয়ে বিক্ষোভ সামলানো তিনি চীনের সমালোচনা করেন।

ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। চীনা কর্তৃপক্ষ আগে বলেছিল, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশটিতে ফ্লাইট চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ যুক্তিযুক্ত কারণ এটা সব এয়ারলাইনের জন্যই প্রযোজ্য।

মার্চে বেইজিং জানিয়েছিল, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনগুলো চীন ও অন্য কোনো দেশের মধ্যে সপ্তাহে একটার বেশি ফ্লাইট চালাতে পারবে না। আর ১২ মার্চে এয়ারলাইনগুলো যে সেবা দিচ্ছিল তার বেশি কিছু দিতে পারবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন দপ্তর বলছে, চীনের এই নিয়মের ফলে কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারলাইন্স নিষিদ্ধ হয়ে যায়। কারণ তারা ফেব্রুয়ারি থেকেই চীনের সঙ্গে স্বেচ্ছায় বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছিল করোনাভাইরাস মহামারী এবং বেশিরভাগ চীনা নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার জন্য।

পরিবহন দপ্তর জানায়, চীনে পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর আবেদন প্রত্যাখ্যান ১৯৮০ সালে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল নিয়ে করা চুক্তির পরিপন্থি।

যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বৃহস্পতিবার চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, ৮ জুন থেকে বিদেশি এয়ারলাইনগুলোকে ফ্লাইট বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
 
নতুন নিয়মে সব বিদেশি এয়ারলাইন্সই অনুমোদিত তালিকা থেকে যে কোনো শহর ঠিক করে সপ্তাহে একটি আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে।