যুক্তরাষ্ট্রে সহিংস বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ, আহত ৫ পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্নাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকে কেন্দ্র করে জনরোষের শিকার হচ্ছে পুলিশ। ছড়িয়ে পড়া সহিংস বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ ও গণমাধ্যম একথা জানিয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 2 June 2020, 04:46 PM
Updated : 2 June 2020, 05:32 PM

লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি মলে বিক্ষুদ্ধরা আগুন দিয়েছে। নিউ ইয়র্কে দোকানে লুটপাট হয়েছে। সেন্ট লুইস এবং মিজৌরিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন চার পুলিশ। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

প্রায় ২শ’ বিক্ষোভকারী লুটপাট চালানোসহ পুলিশের দিকে পাথর ছুড়ে মারছে বলে জানিয়েছেন সেন্ট লুইসের এক পুলিশ কর্মকর্তা। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে। একটি জায়গায় ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে গোটা দেশজুড়ে ছারখার হচ্ছে শহরের পর শহর।

লাস ভেগাসে বিক্ষোভের সময় আলাদা দুটি গুলির ঘটনায় একজন মারা গেছেন এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন শহরটির শেরিফ জো লোম্বার্ডো। তিনি জানান, ওই পুলিশ কর্মকর্তার অবস্থা গুরুতর।

ঘটনার বর্ণনায় লোম্বার্ডো বলেন, সার্কাস সার্কাস হোটেল এবং ক্যাসিনোর সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করার সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ হন। তাকে এখন ইউনিভার্সিট মেডিকেল সেন্টারে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করার সন্দেহে একজনকে চিহ্নিত করে কাস্টডিতেও নেওয়া হয়েছে। পৃথক আরেকটি ঘটনায় পুলিশ একজনকে গুলি করে। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই এ বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠেছে গত সপ্তাহে মিনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাটুর চাপে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্নাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের দমবন্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে শুক্র, শনি ও রোববার ৪৩ টি শহরে ৭ হাজার ২শ’ জনেরও বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।

দাঙ্গা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, উন্মত্ত আচরণসহ আরো নানা অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও পরে তা সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে।

দেশজুড়ে বহু শহরে জারি থাকা কারফিউ ভঙ্গ করেই বিক্ষোভ চলছে। ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, লস এঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকোসহ অন্য আরো কয়েকটি শহরে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।

সোমবার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামানোর হুঁশিয়ারি দেওয়ায় বিক্ষোভকারীরা আরো ফুঁসে উঠেছে।

পুলিশের ওপর হামলা, লুটপাট ও অন্যান্য সহিংসতায় লিপ্ত থাকায় নিউ ইয়র্কে গতরাতে প্রায় ৭শ’ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।ফিলাডেলফিয়ায় গ্রেপ্তার হয় ২৫০ জনেওর বেশি মানুষ। দুই জায়গাতেই বাড়ানো হয়েছে কারফিউ।