যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে রোববার লন্ডন, বার্লিন এবং টোরান্টোর মতো শহরেও বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ।
যুক্তরাজ্যে লন্ডন শহরের কেন্দ্রস্থলে ট্রাফালগার স্কয়ারে ন্যাবিচার এবং শান্তির দাবিতে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
পার্লামেন্ট ভবন পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে গিয়ে শেষ হয় মিছিল। সেখানে তারা ফ্লয়েডের ন্যাবিচারের দাবিতে স্লোগান দেয়। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ওদিকে, জার্মানির বার্লিনেও কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে জর্জ ফ্লয়েডের ন্যায়বিচারের দাবিতে। ‘কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা’ বন্ধের দাবিতেও স্লোগান দেয় তারা।
কানাডার টোরান্টো শহরেও চার হাজার বিক্ষোভকারী ফ্লয়েড হত্যা, বর্ণবাদ এবং পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় এক কৃষ্ণাঙ্গ নারীর মৃত্যুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেছে। শহরের একটি পার্ক থেকে মিছিল করে পুলিশের সদরদপ্তরের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিসে গত সপ্তাহে সোমবার জালিয়াতির অভিযোগে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে গলায় হাঁটু দিয়ে চেপে রাখার পর শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার মোবাইল ফুটেজ সামনে আসার পরই প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে।মঙ্গলবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। কারফিউ ভঙ্গ করে চলছে সহিংস বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ৩০ টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এর ঢেউ লেগেছে বিশ্বে। বিভিন্ন দেশের আরো অনেক শহরে আগামী সপ্তাহে মানুষ বর্ণবাদ এবং পুলিশের নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামার পরিকল্পনা করছে। বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া পোস্ট থেকে মিলছে সে আভাসই।