জি৭ সম্মেলন পিছাচ্ছেন ট্রাম্প, আমন্ত্রণ পাচ্ছে ভারত-রাশিয়াও

বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি–৭ এর এবারের সম্মেলন পিছিয়ে দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

>> Reutersবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2020, 12:04 PM
Updated : 31 May 2020, 12:04 PM

যুক্তরাষ্ট্রে জুনেই এ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর বা তারও পরে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

তাছাড়া, সম্মেলনে নিয়মিত সদস্যদের পাশাপাশি জোট থেকে বহিষ্কার হওয়া দেশ রাশিয়াসহ অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার ফ্লোরিডায় স্পেসএক্সের রকেট উড্ডয়ন দেখে ওয়াশিংটন ফেরার পথে এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদেরকে একথা জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তিনি বলেন, “জি৭ এখন খুবই পুরনো একটি গ্রুপ। আমি সম্মেলন পিছিয়ে দিচ্ছি। কারণ, জি৭ হিসাবে এই জোট বিশ্বে চলমান পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।”

জি৭ এর দেশগুলো হল- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি, ইতালি এবং কানাডা। এ জোটে প্রতিনিধিত্ব করে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। এবার ট্রাম্প বাড়তি আরো চার দেশকে আমন্ত্রণের কথা জানালেন।

এ আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প কি স্থায়ীভাবে জি৭ জোটে সদস্য বাড়ানোর কথা ভাবছেন? দেখা দিয়েছে সে প্রশ্ন। ট্রাম্প এর আগে কয়েকবারই জি৭ এ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন।

১৯৯৮ সালে রাশিয়া জি৭ এ যোগ দেওয়ার পর জোটটি হয়ে গিয়েছিল জি৮। কিন্তু ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেইনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের পর দেশটিকে এ জোট থেকে বের করে দেওয়া হয়। ফলে জোটটি ফের হয়ে যায় জি৭।

ট্রাম্প ‘রাশিয়াকে জোটে ফেরতে দেওয়া উচিত’ বলে আসলেও জি৭ এর দেশগুলো তা প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র এলিসা ফারাহ বলেছেন, ট্রাম্প চান বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্মেলনে দেশগুলো চীন নিয়ে আলোচনা করুক। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং তা ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ট্রাম্প বরাবরই চীনকে দায়ী করে আসছেন।

এর মধ্যে হংকংয়ে চীনের নিরাপত্তা আইন চালু নিয়ে বিবাদে ট্রাম্প তার প্রশাসনকে হংকংকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ মর্যাদার ইতি টানারও নির্দেশ দিয়েছেন। এর প্রেক্ষাপটেই চীন বিষয়ক আলোচনায় আগ্রহী ট্রাম্প।

বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবছরই আলোচনার জন্য জি৭ সম্মেলন হয়। এবারের সম্মেলনের করোনাভাইরাস গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেখাতে এ সম্মেলন আয়োজন নিয়ে বেশ আগ্রহী ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সম্মেলনটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সে অবস্থান থেকে ‍পিছু হটলেন ট্রাম্প।