মহামারী ঠেকাতে অস্ত্রের তহবিল গবেষণায় দিতে বললেন পোপ

অস্ত্রের জন্য বরাদ্দ তহবিল পরবর্তী মহামারী ঠেকানোর গবেষণায় দিয়ে দিতে রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 May 2020, 11:00 AM
Updated : 31 May 2020, 11:00 AM

শনিবার ভ্যাটিকানে প্রায় তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রার্থনাসভা পরিচালনাকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

এ প্রার্থনাসভায় অংশ নেয়া প্রায় ১৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই ছিলেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ভ্যাটিকানের উদ্যানে অনুষ্ঠিত এ প্রার্থনায় তাদের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০টি ক্যাথলিক স্থাপনায় থাকা আরও কয়েক হাজার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যুক্ত হন। ভিডিও লিংকের মাধ্যমে ২৫টি স্থানের প্রার্থনাকারীদের দেখানো হয় উদ্যানের বড়পর্দায়।

শনিবার পোপের সঙ্গে প্রার্থনায় যারা ছিলেন তাদের মধ্যে ইতালির চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স চালকের পাশাপাশি নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠা রোগী এবং কোভিড-১৯ এ মৃতদের পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।

করোনাভাইরাস মহামারী রোববার পর্যন্ত ইতালির ৩৩ হাজার তিনশরও বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে।

অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই মুখে মাস্ক থাকলেও মাইক্রোফোনে প্রার্থনায় করার সময় তারা মাস্ক খুলে রেখেছিলেন। ৮৩ বছর বয়সী ফ্রান্সিস অন্যান্যদের চেয়ে কয়েক মিটার দূরে বসেছিলেন, তার মুখে মাস্ক ছিল না।

প্রার্থনার সমাপ্তিতে ফ্রান্সিস জাতীয় নেতাদের দূরদর্শী মনোভাব গ্রহণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। এই মুহুর্তে যারা সবচেয়ে অভাবগ্রস্ত তাদের সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমাধানের দিকে মনোযোগী হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

চলতি মাসের শুরুতে তিনি নতুন করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার উপর জোর দিয়েছিলেন; কেউ টিকা আবিষ্কারে সফল হলে তা বিশ্বের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেয়ারও আহ্বান ছিল তার।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত তিন মাস ধরে ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানে চার দেয়ালের ভেতর থেকে বিভিন্ন ধর্মসভা ও প্রার্থনায় অংশ নিয়েছিলেন। সেসব সভা-প্রার্থনায় ভক্ত-অনুসারীদের উপস্থিতি ছিল না।

সংক্রমণ অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে আসায় ইতালিতে দ্বিতীয় দফা বিধিনিষেধ শিথিলের ফলে ১৮ মে থেকে সেইন্ট পিটার ব্যাসিলিকা ও সেইন্ট পিটারস স্কয়ার পুরোপুরি খুলে দেয়া হয়েছে।

রোববার ব্যাসিলিকার ভেতরে নিয়মিত প্রার্থনায় পোপের সঙ্গে আরও জনা পঞ্চাশেক লোক থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে; এরপর মধ্য মার্চের পর প্রথমবার তিনি জানালা থেকে প্রাঙ্গণের দিতে তাকিয়ে ‘রোববারের বার্তা’ দেবেন।