হংকংয়ে আবার বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৩শ’

হংকংয়ে চীনের প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে আবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 27 May 2020, 01:50 PM
Updated : 27 May 2020, 08:06 PM

‘হংকং স্বাধীন কর’, ‘স্বাধীনতাই একমাত্র পথ’, স্লোগান দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।প্ল্যাকার্ড হাতে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’র বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

বিতর্কিত নিরাপত্তা আইনের প্রতিবাদে হংকংয়ে কয়েকমাসের মধ্যে গত রোববার প্রথম বড় ধরনের বিক্ষোভের পর বুধবার নতুন করে এ বিক্ষোভ হল।

পুলিশ হংকংয়ের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে মরিচের গুঁড়ার স্প্রে ছুড়েছে। আরো তিনটি এলাকার বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ৩শ’ জন।

প্রস্তাবিত নিরাপত্তা আইন নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকার মধ্যে বুধবার যোগ হয়েছে চীনা জাতীয় সঙ্গীত অবমাননাবিরোধী আরেকটি বিল। দুয়ে মিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

জাতীয় সংগীতের বিলটি নিয়ে পার্লমেন্টে বিতর্ক বানচাল করতে এদিন বিক্ষোভ ডাকে আন্দোলনকর্মীরা। ওদিকে, বিক্ষোভ ঠেকাতে পার্লামেন্টের চারপাশে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয় শত শত পুলিশ। ৬ ফুট উঁচু বেষ্টনি দিয়ে ঘিরে রাখা হয় অনেকটা এলাকা।

চীনের প্রস্তাবিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাস হওয়ার কথা রয়েছে বৃহস্পতিবার। আর জাতীয় সঙ্গীতের বিলটি নিয়ে বুধবারই বিতর্ক চলছে পার্লামেন্টে।

হংকংয়ের আন্দোলনকর্মী, মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, নিরাপত্তা আইন চালু হলে হংকং ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’র অধীনে যে স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে আসছে তার অবসান ঘটতে পারে। আইনটি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ওদিকে, চীনা জাতীয় সঙ্গীত সংক্রান্ত বিলটি কয়েক বছর ধরেই আলোচনায় আছে। এখন পার্লামেন্টে বিতর্কের পর এ বিলটি আইনে পরিণত হতে পারে আগামী মাসেই।

এর আওতায় চীনা জাতীয় সঙ্গীতকে কেউ অসম্মান বা অবমাননা করলে তাকে তিন বছরের জেল এবং ৯ হাজার ৭শ’ ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হবে। বিরোধীদের মতে, এ আইনেও হংকংয়ের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হবে।

হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের কথায়, হংকংবাসী এর বিরুদ্ধে আজই সোচ্চার হয়ে বাইরে বেরিয়ে না এলে আর হয়ত কখনোই বেরিয়ে আসতে পারবে না। সবরকম ভয়ভীতিকে জয় করে মানুষের আওয়াজ তোলার এখনই সময়।