হংকংয়ে গত বছরের বড় ধরনের গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভে কিছু কিছু কর্মকাণ্ডকে তারা সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছেন।
সোমবার হংকং এর নিরাপত্তা প্রধান জন লি বলেন, সন্ত্রাস বাড়ছে। পাশাপাশি হংকং এর স্বাধীনতার ডাক দেওয়ার মত ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড বেশি বেড়ে যাচ্ছে। হংকংকে গ্রাস করছে সহিংসতা। নতুন নিরাপত্তা আইন এর রাশ টেনে ধরবে।
ওদিকে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের হংকং কার্যালয়ের কর্মকর্তা সিয়ে ফেঙ বলেছেন, চীনের নিরাপত্তার জন্য যারা আসন্ন হুমকি তারাই এ আইনের লক্ষ্য। আইনটি সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী শক্তি নিয়ে স্থানীয় এবং বিদেশি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগ দূর করবে।
হংকংয়ে কয়েকমাসের শান্ত অবস্থার পর চীনের বিতর্কিত এই নতুন নিরাপত্তা আইন চালুর পরিকল্পনাকে ঘিরে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রোববার হংকংয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে এবং শতাধিক জনকে আটকও করেছে।
আইনটির সমালোচকরা বলছেন, এ আইন হংকংয়ের স্বাধীনতা খর্ব করারই প্রচেষ্টা। চীনের ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’র অধীনে হংকং যে স্বাধীনতা ভোগ করে আসছে তা এই নিরাপত্তা আইনের ফলে ক্ষুন্ন হবে।
তবে বিশ্বব্যাপী রাজনীতিবিদরা আইনটির সমালোচনায় মুখর হলেও চীন এ আইন পাসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ওদিকে, হংকংয়ের ক্যারি লাম সরকারও প্রস্তাবিত আইনটি পাসে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং এতে হংকংয়ের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে না বলে জানিয়েছে।